উপন্যাস : কপোত কপোতীদের গল্প
লেখিকা : আনআমতা হাসান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা আনআমতা হাসানের “কপোত কপোতীদের গল্প” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান |
এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ১০)
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান (পর্ব - ১১)
টিফিন খাওয়া শেষ করে ক্লাসে ফিরছিল তিন বান্ধবী তূবা, দোলা আর কুহু। দোতলার বারান্দা দিয়ে ক্লাসে যাওয়ার সময় কথা বলতে বলতে বেখেয়ালি ভাবে বাহিরের রাস্তার দিকে তাকাতেই তূবার চোখ আটকে যায়। কলেজের সামনের বড় রাস্তার ওপারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছেলেকে দেখে। ভ্রু কুঁচকে দুই পা সামনে এগিয়ে বারান্দা রেলিং ঘেসে দাঁড়ায় সে। তূবার পাশেই হাটছিল দোলা। তূবাকে তার পাশে না দেখে, পিছনে তাকিয়ে দেখে তূবা রেলিং ঘেসে দাঁড়িয়ে গেইটের বাহিরে কি যেন দেখছে। দোলা কৌতুহল নিয়ে তূবাকে জিজ্ঞেস করল
- কিরে তুই বাহিরের দিকে এমন করে কি দেখছিস?
তূবা কুহুকে উদ্দেশ্য করে ডান হাত দিয়ে রাস্তার ওপাশে দাঁড়ানো ওই ছেলেটাকে দেখিয়ে বলল
- কুহু, দেখ কাব্য ভাইয়া।
তূবার কথা শুনে দোলা আর কুহু দুজনেই গিয়ে তূবার পাশে দাঁড়িয়ে, তূবার ইশারা করা ছেলেটার দিকে তাকালো। জিম করা কালো গায়ে সাদা টি-শার্ট আর দূসর রঙের প্যান্ট পরা কাব্য, মিষ্টি হেসে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হলুদ রঙের থ্রিপিস পরা সুন্দরী মেয়েটার সাথে কথা বলছে সে। তাদের কথা বলার মাঝেই একটা কালো মাইকো গাড়ি এসে তাদের সামনে থামে। কাব্য গাড়ির দরজা খুলে দিলে মেয়েটা হেসে গাড়িতে উঠে পড়ে। তারপর কাব্য গাড়িতে উঠে পড়ে। আর মাইকোটা সামনে রাস্তা ধরে চলে যায়। এই দৃশ্যটা দেখেই রাগে মাথাটা গরম হয়ে গেল কুহুর। কতোদিন সে কাব্যকে বুঝিয়েছে মেয়ে বান্ধবি থাকার অপকারীতা সম্পর্কে। কয়েকমাস আগে একটা গ্রুম ফটোতে কাব্যের পাশে বিথীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও কাব্যকে গিয়ে বলেছিল, "মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা", "তাদের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া", " তাদের সাথে হেসে হেসে কথা বলা" এগুলো ভালো না। ফিউচার ওয়াইফ এতে খুব খুব কষ্ট পায়। তার খুব কান্নাও পা,,,,,,,। কতোটুকু শুনেই কাব্য তার সেই পাগল করানো হাসিটা হেসেছিল। কুহু আর কিছুই বলতে পারেনি। শুধু হা করে তাকিয়ে ছিল সেই হাসির দিকে। কিন্তু আর না। এবার তাকে শক্ত হতে হবে। না হয় কোন এক ভূত রাজ্যের সাতচুন্নি এসে তার কাব্যকে নিয়ে যাবে। কুহুর ভাবনার মাঝেই দোলা কুহুর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- কাব্য ভাইয়ার সাথে এটা কে? চিনিস একে?
কুহু দোলার দিকে তাকিয়ে করে বলল
- এটা একটা সাতচুন্নি। নাম তার বিথী। পড়ে কাব্যের সাথে। আমার কাব্যকে চুরি করতে চায় এই সাতচুন্নি। শুধু হাতের কাছে পাচ্ছি না দেখে। একদিন পাই হাতের কাছে হারে হারে বুঝিয়ে দিব আমার কাব্যকে চুরির চিন্তা করার অপকারিতা।
💞
বিকেল সময়টা সুন্দর খুবই আনন্দের হয়। যদি প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো যায়। ঠিক সেই বিকেলটাই খুব বিরক্তিকর হয়, যদি জ্যামের মধ্যে কাটকে থাকতে হয়। অভ্র এখন সেই বিরক্তকর পরিবেশে আছে। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে জ্যামের মধ্যে গাড়িতে বসে আছে অভ্র। হঠাৎ চোখ যায় রাস্তার পাশের পার্কের মধ্যে। নীল স্কুলের ড্রেস পরা একটা ছেলে আর একটা মেয়ে। ছেলেটি মেয়েটাকে ফুল দিচ্ছে। এই দৃশ্যটা দেখেই অভ্রের মনে পরে যায় অতিতের একটা দিনের কথা।
আজ থেকে নয় বছর আগের -----------
একদিন দুপুরে অভ্র ভাত খাচ্ছিলো আর মিসেস মিতালী তার পাশে বসে তার প্লেটে জোর করে এটা ওটা বেড়ে দিচ্ছিল। ঠিক তখনি কেউ কলিং বেল চাপে। তাদের বাসার কাজের লোক গিয়ে দরজা খুলে দেয়। তখনি কাঁদতে কাঁদতে বাসার ভিতরে ঢুকে তূবা। পরনে সবুজ রঙের স্কুলের হাটু পর্যন্ত লম্বা ফ্রক। পায়ে সাদা মুজা। কাধে পিংক কালারের বার্বির ছবি দেওয়া স্কুল ব্যাগ। ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত লম্বা চুলগুলো দুই জুটি করা। কান্নার ফলে ফর্সা গাল, নাক টকটকে লাল হয়ে গিয়েছে। মিসেস মিতালী তূবাকে দেখে বসা থেকে দাঁড়িয়ে তূবার কাছে যেতে যেতে জিজ্ঞেস করল
- কি হয়েছে তূবা মা? কান্না করছিস কেন?
অভ্র তূবাকে কাঁদতে দেখে খাওয়া ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে তূবার সামনে হাটু গেড়ে বসে। নিজের বাম হাতটা তূবার ডান গালে রেখে আদরের কন্ঠে জিজ্ঞেস করল
- কি হয়েছে আমার তূবাসোনার? কে বকেছে আমার তূবাসোনাকে? বল আমায়?
তূবা অভ্রের গলা জড়িয়ে ধরে আরও জোরে কেঁদে দেয়। অভ্র তূবার মাথায় নিজের বাম হাত বুলিয়ে আবার জিজ্ঞেস করে
- কি হয়েছে বল? পড়া পাড়িসনি তাই ম্যাম বকেছে? আচ্ছা আমি কালই গিয়ে ম্যামকে বলে দিয়ে আসবো যাতে আমার তূবাসোনাকে আর না বকে।
তূবা এবার কান্না থামিয়ে অভ্রকে ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে, রাগ করে মুখ ফুলিয়ে বললো
- আমি প্রতিদিন সব পড়া পাড়ি। আমাকে ম্যাম কেন বকবে?
তূবার এমন রাগ করে মুখ ফুলানো দেখে অভ্রের খুব হাসি পায়। কিন্তু এখন হাসা যাবে না। এখন হাসলে তূবা তার সাথে রাগ করবে। তাই অভ্র হাসি আটকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- তাহলে কে বকেছে?
তূবা মলিন কন্ঠে বললো
- রিক ভাইয়া।
তূবার থেকে তিন বছরের বড় রিক। অভ্রদের বাসার পাশের বাসাটাই রিকদের। ছেলেটাকে ছোটবেলা থেকেই দেখছে অভ্র। কখনো কাউকে বকতে বা মারতে দেখেনি। সেই ছেলে তূবাকে বকেছে বা মেরেছে? কথাটা ভেবে অবাক হয়ে তূবাকে অভ্র জিজ্ঞেস করল
- রিক তোকে মেরেছে?
তূবা মাথা ঝুলিয়ে না করলো। অভ্র আরও অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল
- তাহলে বকেছে?
তূবা এবারো মাথা ঝুলিয়ে না করলো। অভ্র এবার বেশ চিন্তিত হয়ে যায়। মারেওনি বকেওনি তাহলে কি করেছে? কপাল কুঁচকে চিন্তিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল
- তাহলে কি করেছে?
তূবা কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলল
- আমি স্কুল থেকে আসছিলাম। তখন রিক ভাইয়া আমার সামনে এসে একটা গোলাপ ফুল এগিয়ে দিয়ে ঐ পঁচা লাইনটা বলেছে।
অভ্র ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল
- কোন পঁচা লাইনটা?
- ওই যে, আই লাভ ইউ।
কথাটা বলে তূবা আবার কান্না শুরু করে দেয়। আর তূবার মুখে এই কথাটা শুনে অভ্র আড় চোখে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে, মিসেস মিতালী মুখ টিপে হাসছে। অভ্র তূবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো
- কান্না করে না তূবাসোনা, কান্না করলে তোমার ঠান্ডা লেগে যাবে। আমি রিককে বকে দিব। ও আর কখনো তোমাকে পঁচা কথা বলবে না। তার আগে বলতো তারপর কি হয়েছে। মানে রিক কি আরও কিছু বলেছে?
তূবা কান্না কান্না থামিয়ে নাক টানতে টানতে বললো
- তারপর আমি জোরে কান্না করে দেই। রিক ভাইয়া ভয় পেয়ে দৌড়ে চলে যায় আর আমি কাঁদতে কাঁদতে এখানে চলে আসি।
বর্তমানে ----------------
নয় বছরের মেয়েকে বারো বছরের ছেলের এভাবে প্রপোজ করে, মেয়ের কান্নার ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার কাহিনী মনে হতেই আনমনে হেসে উঠে অভ্র। তারপর মনে মনে ভাবে, "যে মেয়েকে কয়েক বছর আগেও কেউ আই লাভ ইউ বললে কেঁদে দিত। এখন সেই মেয়ে তাকে আই লাভ ইউ বলে।" সত্যিই সময় খুব দূত গতিতে চলে যায় আর মেয়েরা সময়ের থেকেও দূত গতিতে বড় হয়ে যায়।
💞
কলেজ থেকে বাসায় না গিয়ে সোজা কাব্যদের বাসায় যায় কুহু। কলিং বেল চাপার কিছুক্ষণের মধ্যেই হিরা এসে দরজা খুলে দেয়। হিরা দরজা খুলে দিলে কুহু ভিতরে যেতে যেতে হিরাকে জিজ্ঞেস করল
- কিরণ ঘরে আছে?
হিরা উত্তরে বললো
- হ আফা।
কথাটা শুনে কুহু ঘুরে কিরণের রুমের দিকে পা বাড়িয়ে দিয়েও থেমে গেল। কিছু একটা ভেবে আবার হিরার দিকে ঘুরে তাকে জিজ্ঞেস করল
- কাব্য ভাইয়া বাসায় আছে?
হিরা আবারও উত্তর দিল
- হ আফা ভাইজান রুমেই আছে।
কথাটা শুনে কুহু কিরণের রুমে না গিয়ে সোজা কাব্যের রুমে গিয়ে ঢুকলো। কাব্য কিছুক্ষণ আগেই ভার্সিটি থেকে এসেছে। ভার্সিটি থেকে এসেই গোসলে ঢুকে যায় সে। গোসল করে সাদা রঙের টাউজার আর কালো রঙের টি-শার্ট পরে বের হয় সে। ভিজে তোয়ালেটা বারান্দায় মেলে দিয়ে রুমে পা রাখতেই দরজা ঠেলে রুমে ঢুকলো কুহু। কাব্য কুহুকে কলেজ ড্রেসে পরে রাগী মুখে তার রুমে ঢুকতে দেখে অবাক হয়ে বললো
- কুহু! তুমি এখন ,,,,,,
কাব্যের কথা শেষ হওয়ার আগেই কুহু সোজা কাব্যের কাছে এসে, কাব্যের গলার দিকের টি-শার্ট নিজের দুই হাত দিয়ে খামছে টেনে ধরে বললো
- এই তোর সাহস তো কম না। তুই আমাকে না জানিয়ে অন্য মেয়ের সাথে ডেটিং এ যাস। আবার আমার কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে সেই পেত্নীর সাথে হেসে হেসে কথা বলিস। এই তোকে মানা করেছিলাম না, এমন করে কারো সামনে হাসতে। তাহলে কোন সাহসে তুই ওই মেয়ের সামনে এমন করে হেসেছিস? বল আমাকে? আবার গাড়ির দরজাও খুলে দিয়েছিস, ওই পেত্নীর জন্য। কত বড় সাহস তোর! তোকে তো আজ আমি খুন করে ফেলবো।
বলেই কুহু আরো জোড়ে কাব্যের টি-শার্ট ধরে টানতে থাকে। কুহু রেগে গেলে তাকে এমন তুই-তোকারি করে, এটা কাব্যের জানা। একবার এক্সামের পড়ার চাপে কাব্য কুহুর জন্মদিনের গিফট কিনতে ভুলে গিয়েছিল। সেদিনও কুহু এভাবেই কাব্যের কলার চেপে ধরে তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, কোন সাহসে তার বছরে একবার আসা জন্মদিনের গিফট কিনতে কাব্য ভুলে গেছে। পরে রাতে জন্মদিনের পার্টি রেখে রাত নয়টায় তাকে মার্কেটে নিয়ে গিয়ে কুহুর পায়ের এই নুপুর জোড়া কিনে দিতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু কুহুর এখনকার রাগের কারণ কাব্য বুঝতে পারছেনা। আর কুহুর কথার মাথামুণ্ডু কিছুই সে বুঝতেও পারছে না। কাব্য তার টি-শার্টের উপর খামছে ধরে রাখা কুহুর হাত দুটো আলতো করে ধরে বললো
- প্লিজ শান্ত হও কুহু। কিসের কথা বলছো তুমি? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
কুহু আরো জোরে কলার টেনে তার আরও কাছে কাব্যকে এনে আগের নেয় রাগী কন্ঠে বলল
- রাস্তায় মেয়ের সাথে হাসাহাসি করে এখন কিছুই বুঝছিস না, না? বিথীর সাথে আজকে কি করছিলি বল? কি নিয়ে ওর সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এতো হাসাহাসি করছিলি? কেন ওকে গাড়ির দরজা খুলে দিলি? ওর সাথে একা কোথায় গিয়েছিলি বল?
কাব্য কুহুর হাত তার টি-শার্ট থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে শান্ত কন্ঠে বলল
- আমি একা যাইনি। আমরা সব ফ্রেন্ডরা মিলে গিয়েছিলাম। আসলে আজকে আমাদের প্রজেক্ট কমপ্লিট হয়। তাই সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। খাওয়া শেষে সবাই বেসমেন্ট থেকে গাড়িতে উঠে যায়। আমি বিল দিয়ে রাস্তা থেকে গাড়িতে উঠি।
কুহু কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করল
- তা সবাই চলে গেল ওই সাতচিন্নি বিথী গেল না কেন?
কাব্য উত্তর দিল
- বেসমেন্টে গেলে নাকি ওর দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই ও আমার সাথে রাস্তা থেকে গাড়িতে উঠেছে।
কুহু মনে মনে বললো, "হুম কি ঢংয়ের কথা বেসমেন্টে গেলে দম বন্ধ হয়ে যায়। হাতের কাছে শুধু পাই একবার নাকে মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে তোর দম বন্ধ করে তোকে মারবো পেত্নী কোথাকার।" তারপর রাগী চোখে আবার কাব্যের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
- তা ওর সাথে এতো হেসে হেসে কথা বলছিলি কেন? আর ড্রাইভারদের মতো ওকে গাড়ির দরজা খুলে দিয়েছিলি কেন?
কাব্য উত্তর দিল
- ওর আমার ফ্রেন্ড তাই ,,,,,,,,,,,
কাব্যের কথা শেষ হওয়া আগেই কুহু রেগে কাব্যের টি-শার্ট টেনে তার আরও কাছে কাব্যকে নিয়ে আসে। ছয় ফুট উচ্চতার কাব্যের মুখ এখন, পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি লম্বা কুহুর মুখের থেকে মাএ দুই সেন্টিমিটার দূরে। কাব্যের চোখের দিকে তাকিয়ে দাতে দাত চেপে বলল
- এই শোন ফ্রেন্ড হোক আর আর যাই হোক। তুই আমার আর তোর ফ্যামিলি মেম্বার ছাড়া আর কারো সাথে হেসে কথা বলবি না। কাউকে কেয়ার করবি না বুঝেছিস। কাব্য হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ায়। কুহু খুশি হয়ে কাব্যের টি-শার্ট ছেড়ে দিয়ে বললো
- গুড বয়। এখন আমি যাই বায়।
কথাটা বলেই কুহু রুম থেকে বের হয়ে যায়। আর কাব্য গিয়ে ধপাস করে বিছানায় বসে ভাবতে লাগলো কুহুর হয়েছেটা কি? কেন সে তাকে কারো সাথে হেসে কথা বলতে না করছে? কেন সে তার ফ্রেন্ডদের কেয়ার করতে না করছে?
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ১২)
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন