উপন্যাস       :         কপোত কপোতীদের গল্প
লেখিকা        :         আনআমতা হাসান
গ্রন্থ             :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল     :         ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা আনআমতা হাসানের “কপোত কপোতীদের গল্প” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান

এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ০৫)

কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান (পর্ব - ০৬)

অতুলের ফর্সা হাতের পিঠে ছোট কুচকুচে কালো তিলটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দোলা ভাবছে, "কালো তিলটাই কি সুন্দর নাকি ফর্সা হাত দেখে তিলটা এতো সুন্দর লাগছে? সেও তো ফর্সা, কোথায় তার হাতের কব্জির তিলটা তো এতো সুন্দর লাগে না। তাহলে এই তিলটা এতো সুন্দর লাগছে কেন? ইচ্ছে করছে টুপ করে একটা চুমু খেয়ে বসতে। ছিঃ ছিঃ ছিঃ এসোব কি ভাবছিস দোলা। একবার থাপ্পড় খেয়ে সাদ মেটেনি। বেহায়া মেয়ে। আবার থাপ্পড় খেতে চাস।" হঠাৎ অতুল তার সামনে খাতা ঠেলে দিতেই দোলা নিজেকে শাসন করা বন্ধ করে খাতার দিকে তাকায়। খাতার উপরে বামপাশে লাল কালির গোল এর মধ্যে উপরে ৫৭ আর নিচে ১০০ লেখা। অতুল বললো
- স্যার বলেছিল তুমি ম্যাথে মোটামুটি ভালো, এখন যা অবস্থা দেখছি। তাতে পাশ করবে কি না সন্দেহ। অবশ্য তোমার থেকে এর বেশি আশা করাও ভুল।
দোলার এবার রাগ উঠে যায়। দুনিয়াতে কি মানুষের অভাব পড়েছিল? দুনিয়াতে আর মানুষ ছিল না তার টিচার হওয়ার জন্য? এই বদ লোকটাকেই হতে হলো! আজকে প্রথম দিন কোথায় এসে হাসিমুখে নামদাম জিজ্ঞেস করবে, তার কি পড়তে ভালো লাগে আর কি পড়তে খারাপ লাগে তা নিয়ে টুকটাক কথা বার্তা বলবে। তা না, এসেই সোজাসুজি বই খাতা নিয়ে খসখস করে কতোগুলো ম্যাথের প্রশ্ন খাতাতে তুলে, খাতাটা তার সামনে দিয়ে বলেছিল
- এখানে বিশটা ম্যাথ আছে। প্রতিটা ম্যাথে পাঁচ মার্ক করে মোট একশ মার্ক সময় দুই ঘন্টা। নাউ স্টার্ট রাইটিং।
দোলা অবাক হয়ে অতুলের দিকে তাকিয়েছিল। তখন অতুল ওকে বলেছিল
- আমাকে দেখার সময় চলে যাচ্ছে না। বাট তোমার লেখার সময় চলে যাচ্ছে।
কথাটা শুনেই রাগে লজ্জায় চোখ নামিয়ে আর কোন কথা না বলে, আর কোনোদিকে না তাকিয়ে ফটাফট ম্যাথ করা শুরু করেছিল সে।
অতুলের কথায় দোলা বর্তমানে ফিরে আসে। অতুল দোলার দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই জিজ্ঞেস করল
- তা এখনো কি ক্লাস ফাঁকি দেওয়া হয়?
দোলার এবার নিজের চুল নিজেরই ছিড়তে ইচ্ছা করছে। জীবনে একদিন কলেজ ফাঁকি দিয়েছিল সে। আর এই একদিনই এখন তার জীবনের কাল হয়ে দাড়াল। শক্ত কন্ঠে সে উত্তর দিল
- দেখুন আমি কখনো ক্লাস ফাঁকি দেই না। সখের বসে ওই একদিনই শুধু ক্লাস ফাঁকি দিয়েছিলাম।
অতুল চুপ রইল কিছুক্ষণ। কিছুক্ষণ পর নিরবতা ভেঙে বললো
- আমি পড়শুদিন বিকাল পাঁচটায় আসবো।
তারপর আবার কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল
- সরি।
দোলা অবাক হয়ে অতুলের দিকে তাকালো। অতুলের চোখেমুখে অপরাধবোধ স্পষ্ট। অতুল দোলার দিকে তাকিয়ে বললো
- আসলে, সেদিন আমার মনটা মেজাজ খারাপ ছিল। নিজেকে অপদার্থ মনে হচ্ছিলো। নিজের উপর প্রচুর রাগ হচ্ছিল। আর তার মধ্যে তুমি যখন সামনে এসে ওই কথাগুলো বলেছিলে তখন, সব রাগ গিয়ে পড়ে তোমার উপর। আই এম রিয়েলি সরি দোলা। সেদিন তোমাকে থাপ্পড় মারা ঠিক হয়নি। বাট তোমারও দোষ ছিল। একটা অচেনা ছেলেকে এভাবে প্রপোজ করা ঠিক হয়নি। হোক না সেটা খেলার ছলে। আশা করি এমন কাজ আর কখনো করবে না। আজ আসি।
কথাগুলো বলেই অতুল উঠে চলে যায়। অতুল চলে গেলেও দোলা সেখানেই বসে থাকে। প্রথম সাক্ষাতে অতুলতের ব্যবহার আর থাপ্পড় খেয়ে সে ভেবেছিল, অতুল রাগী, অহংকারী। আজকে সে বুঝতে পারছে যে সে ভুল ছিল। কিন্তু কি এমন হয়েছিল ওইদিন যে, অতুলের মতো ব্রিলিয়ান্ট, হ্যান্ডসাম ছেলের নিজেকে অপদার্থ বলে মনে হচ্ছিল?


প্রতিদিনের মতো আজও তিথি স্কুল গেইড থেকে বের হতেই মুখে মিষ্টি হাসি নিয়ে তার সামনে এসে দাড়ায় আয়ান। তিথি বিরক্ত নিয়ে বললো
- মেয়েদের ডিস্টার্ব করা ছাড়া আপনার কি আর কোন কাজ নেই?
আয়ান আপসোসের কন্ঠে উত্তর দিল
- একটু ভুল হলো। মেয়েদের ডিস্টার্ব করি না। শুধু তোমাকেই করি। আর কাজ আছে তো বাবার বিজনেস সামলানো। অই কাজ না থাকলে ভালো হতো। তাহলে আমি সারাদিন তোমার পিছু পিছু ঘুরতে পারতাম। ভাবছি ছোট ভাইটাকে সব দায়িত্ব দিয়ে আমি তোমার পিছু পিছু সারাদিন ঘুরে বেড়াবো।
বলেই তার সবগুলো দাত বের করে একটা হাসি দেয়। তিথির রাগে মাথা গরম হয়ে যায়। এই লোকের সব দাত ভেঙে ফেলতে পারলে তার রাগটা কমতো। কিন্তু আফসোস স্কুলের মালিকের বন্ধু প্লাস মন্ত্রীর ছেলে। তাই তাকে কিছুই বলতে পারছে না সে। শুধু রাগে কটমট করে আয়ানের দিকে একবার তাকিয়ে হনহন করে হেটে রিকশায় উঠে চলে যায় সে। তিথি রিকশায় উঠতেই আয়ান চিল্লিয়ে বললো
- বায়। আবার কালকে দেখা হবে।
আয়ানের কথা তিথির কানে গেলেও সে কিছুই বলে না। এমন কি পিছন ফিরে আয়ানকে দেখেও না। রিকশায় সোজা হয়ে সামনে তাকিয়ে বসে থাকে সে। আর রিকশা তাকে নিয়ে ছুটে চলে তার বাড়ির পথে।
💞
বাসায় ঢুকেই এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছু খুঁজতে লাগল অভ্র। ছেলেকে বাসায় ঢুকেই এভাবে এদিক ওদিক তাকাতে দেখে মিসেস মিতালী জিজ্ঞেস করল 
- কি খুঁজছিস অভ্র?
মা'র প্রশ্ন শুনে অভ্র মনে মনে ভাবতে থাকে, "মা'কে কি জিজ্ঞেস করবে তূবা এসেছে কি না?" পরক্ষণেই আবার ভাবে, "না থাক। তাহলে যদি মা ওর সাথে তূবার কথা হয়নি কেন? তাদের মাঝে কি হয়েছে? এসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা শুরু করে দেয়।" অভ্র উত্তর দিল
- না কিছু না মা।
মিসেস মিতালী কপাল কুঁচকে ছেলেকে জিজ্ঞেস করল
- কিছু না! তাহলে বাসায় ঢুকেই এভাবে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলি কেন?
অভ্র কি বলবে ভাবতে ভাবতে বললো - অই।


মিসেস মিতালী কপাল কুঁচকে বললো - ঐ!
অভ্র আশেপাশে তাকাতেই ডায়নিং টেবিলের উপরে রাখা পানির জগের দিকে চোখ যায়। তা দেখে চট করে বললো
- পানি, পানি খাব। পানি খুঁজছিলাম।
বলেই ডাইনিং টেবিলের উপরে রাখা জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে ডক ডক করে একগ্লাস পানি খেয়ে ফেলে সে। তারপর আর কোনো কিছু না বলে, কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা নিজের রুমের দিকে হাটা দেয়। মিসেস মিতালীও রান্নাঘরে চলে যায়। রুমে ঢুকে হাতে ঝুলিয়ে রাখা দবদবে সাদা এপ্রোনটা আর ব্যাগটা বিছানার উপর ছুরে ফেলে দিয়ে, আলমারি থেকে টাউজার আর টি-শার্ট নিয়ে সোজা ওয়াসরুমে ঢুকে পরে অভ্র। ওয়াসরুমের দরজা লাগিয়ে হাতের কাপড় গুলো রেখে শাওয়ার ছেড়ে তার নিচে দাঁড়িয়ে পরে সে। মনটা তার ভীষণ খারাপ। কষ্ট হচ্ছে খুব। আজ দুই দিনের বেশি সময় ধরে তার সাথে তূবার দেখা হয় না, কথা হয় না। যে মেয়ে তার সাথে প্রায় প্রতিদিনই দেখা করে। যে মেয়ে তার সাথে কথা না বলে একটা দিনও থাকতে পারে না। সেই মেয়ে আজ প্রায় তিনদিন ধরে তার সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি। আচ্ছা তূবা ঠিক আছে তো? যে জোরে ওইদিন ওকে থাপ্পড় মেরেছিল। আবার জ্বর-টর এসে পড়েনি তো? দূর কেন যে ওকে মারতে গেল। আর মেরেছেই যখন এতো জোরে মারার কি দরকার ছিল? আস্তে মারলেই তো হোত। নিশ্চয় অনেক ব্যথা পেয়েছে। না, আর না। এবার একটা খোঁজ নিতেই হবে তার তূবাসোনার। কথাগুলো ভেবে শাওয়ার বন্ধ করে ভিজা কাপড় পাল্টে তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে ওয়াসরুমের বাহিরে বের হয়ে সামনে তাকাতেই থমকে দাড়ায় সে। গায়ে হলুদ রঙের একটা টপস সাথে কালো রঙের প্লাজু। গলাতে কালো রঙের একটা জর্জেটের ওড়না। চুলগুলো খোপা করা। দুই পা তুলে সোফাতে বসে, কোলের উপরে বই রেখে মাথা নিচু করে পড়ছে তূবা। সোফার সামনের টেবিলে সিরামিকের একটা মাঝারি সাইজের বাটি ভর্তি নুডুলস, সাথে একটা কাটা চামিচ। অভ্রের পছন্দের একটা খাবার নুডুলস। তূবাও বেশ পছন্দ করে। অভ্রের ওয়াসরুম থেকে বের হওয়ার শব্দ শুনলেও অন্য সময়ের মত মাথা তুলে তাকিয়ে আজ বকবক করে উঠেনি তূবা। মাথা নিচু করে বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে সে। অভ্র বুঝলো তূবা তার উপর রাগ করেছে। অভ্র যা করেছে তাতে রাগ করাটাই স্বাভাবিক। দোষের কিছু না। কিন্তু সে একেবারে নির্দোষও না। অভ্র তাকে অনেক বুঝিয়েছে। কিন্তু সে বুঝেনি। বুঝার চেস্টাও করেনি। অভ্র একটা দীর্ঘনিশ্বাস গোপন করে এই ভালোবাসা নামক টপিকটা আপাতত মাথা থেকে বের করে দেয়। প্রায় তিনদিন পর তূবার সাথে তার দেখা হয়েছে। সে চায় না এখন তাদের মধ্যে কোনো মন-মানিল্য হোক। সে চিন্তা করতে থাকে এখন তূবার রাগ কিভাবে ভাঙা যায়। অভ্রের মাথায় একটা প্ল্যান আসে। সে হাতের ভিজা তোয়ালেটা ইচ্ছে করেই ছুড়ে বিছানায় ফেলে দেয়। সাদা রঙের বিছানার চাদরের বড় বেগুনি রঙের ফুলের এক অংশে গিয়ে পরে তোয়ালেটা। অভ্র জানে তূবা বিছানাতে কোনো কিছু ছুড়ে ফেলা পছন্দ করে না। আর ভিজা তোয়ালে তো মোটেই না। এই আগেও যতোবার অভ্র বিছনাতে ভিজা তোয়ালে ছুড়ে ফেলেছে তোতবারই তূবা তাকে বকেছে। অভ্র এসে যে বিছানার উপর ব্যাগ আর এপ্রোনটা রেখে ওয়াসরুমে গিয়েছিল সেগুলোও এখন বিছানাতে নেই। অভ্র নিশ্চিত তূবা ওর রুমে ঢুকে বিছানায় ব্যাগ আর এপ্রোন দেখে ওকে বকতে বকতে ব্যাগটা কাভার্ডে আর এপ্রোনটা ময়লা কাপড়ের ঝুড়িতে রেখে দিয়ে এসেছে। তাই তূবার বকবক শোনার জন্য অভ্র এই কাজ করেছে। কিন্তু আজ তার ব্যতিক্রম হলো। তোয়ালেটা অভ্র বিছানাতে ছুড়ে ফেলতেই তূবা মাথা তুলে তোয়ালেটার দিকে একবার তাকিয়ে আবার বইয়ের দিকে তাকায়। তূবা বুঝে ফেলে যে অভ্র তাকে রাগানোর জন্য ইচ্ছে করেই এই কাজটা করেছে। তাই সে রেগে গেলেও নিজের রাগটা গিলে ফেলে। সে মনে মনে বলে, "দেখ কি বুদ্ধি ডাক্তার সাহেবের আমার মুখ থেকে কথা শুনার জন্য ভিজে তোয়ালে বিছানাতে ছুড়ে ফেললো। হুম্ম কথা বলব না আমি। ভিজে তোয়ালে কেন বিছানায় পানি ঢাললেও না।" অভ্রের প্ল্যান ভেস্তে গেলে সে ভাবতে থাকে আর কি করলে তূবা কথা বলবে। তখনি অভ্রের চোখ যায় টেবিলের উপরে রাখা নুডুলস এর দিকে। অভ্র গিয়ে ধপাস করে তূবার পাশে বসে, আড় চোখে তূবার দিকে তাকায়। না তূবার কোন হেলদোল নেই। তারপর সে টেবিলের উপর থেকে নুডুলসের বাটিটা নিয়ে খেতে শুরু করে। খেতে খেতে আড় চোখে কয়েকবার তূবার দিকে তাকায় সে। না তূবা এক মনে পড়েই যাচ্ছে তার দিকে তাকাচ্ছে না। নুডুলস প্রায় অর্ধেক খেয়ে ফেলেছে। তারপরও তূবা তার সাথে কথা বলা তো দূরের কথা তার দিকে তাকাওনি পর্যন্ত। না এভাবে হবে না তূবাকে নুডুলস এর লোভ দেখাতে হবে। অভ্র বাটি থেকে আরো এক চামিচ নুডুলস মুখে দিয়ে তৃপ্তি নিয়ে খেতে খেতে বললো
- হুম্মম, নুডুলসটা অনেক মজা হয়েছে। কখন যে অর্ধেক খাওয়া হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।


তারপর আড় চোখে তূবার দিকে একনজর তাকিয়ে আবার বললো
- আর কেউ তো খাবেই না। আমিই খেয়ে ফেলি।
বলেই চামিচে নুডুলস নিয়ে যেই না মুখে দিবে অমনি তূবা অভ্রের হাত টেনে ধরে চামিচের সব নুডুলস নিজে খেয়ে ফেলে। তূবার কান্ড দেখে অভ্রের হাসি পেলেও অভ্র হাসি আটকিয়ে মুখে গাম্ভীর্য ফুটিয়ে নুডুলস এর বাটিটা তূবার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে কপাল কুঁচকে বললো
- যে আমার সাথে কথা বলে না। তাকে আমি নুডুলস দেব না।
এই বলে সে আর এক চামিচ নুডুলস মুখে দিতে গেলে তূবা আবার অভ্রের হাত টেনে চামিচের সব নুডুলস নিজে খেয়ে ফেলে। অভ্রর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললো
- নুডলস কষ্ট করে বানালাম আমি, তুমি দেওয়া না দেওয়ার কে! খবরদার আর এক চামিচ নুডুলসও খাবে না। তোমার ভাগেরটা তুমি খেয়ে ফেলেছ। এগুলো আমাকে খায়িয়ে দেও।
অভ্র এক ভ্রু উঁচু করে জিজ্ঞেস করল
- আমি কেন খায়িয়ে দিব?
তুবা উত্তর দিল
- নুডুলস বানিয়ে আমার হাত ব্যথা হয়ে গেছে তাই।
- যদি না দেই?
- তাহলে আমার রান্না করা যে নুডুলস খেয়েছ তা ফেরত দেও।
অভ্র ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল
- কেন দিব? আমি কি ইচ্ছে করে খেয়েছি? তুই তো আমাকে খেতে দিয়েছিস।
তূবা চোখ দুটো ছোট ছোট করে বললো
- আমি কি একবারও তোমাকে খেতে বলেছিলাম। তুমি নিজে নিজে নিয়ে খেয়েছো। এখন আমি কোনো কথা শুনবো না। হয় তুমি খায়িয়ে দিবে না হয় আমার নুডুলস ফিরিয়ে দিবে।
কথাগুলো বলেই নুডুলস খাওয়ার জন্য হা করে তূবা। অভ্র মুচকি হেসে তূবাকে খায়িয়ে দিতে লাগলো। সে যা চেয়েছে তা হয়ে গেছে। তূবা তার সাথে কথা বলছে। আর তূবাও অনেকদিন পর অভ্রের হাতে খেতে পেরে, মহা আনন্দে খেতে লাগলো।


আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...


এখানে ক্লিক করে পড়ুন কপোত কপোতীদের গল্প (পর্ব- ০৭)


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন