উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
৫৮তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৫৯)
আরাফ আদর চৌধুরীর ফোন এর লোকেশন ট্রেক করার চেষ্টা করছে।নবনি আদর চৌধুরীকে ফোন দিয়ে যাচ্ছে।তিনি ফোন ধরছেন না।
নবনিঃবাবা কোথায় যেতে পারেন?!!আমাদের বাচ্চারা তার কাছে।ওরা ঠিক আসে তো!!
আরাফঃফাইলটাও উনার কাছে।শত্রুদের না দিয়ে দেন।তার আগেই তাকে খুজতে হবে।
নবনিঃকিন্তু কি করে খুজবো?
আরাফঃতানভীরকে কল করো নবনি।
নবনিঃতানভীর কে কেনো?
আরাফঃকল করো বলছি।
তানভীরকে কল দিতেই তানভীর কল ধরে।
তানভীরঃহ্যা ম্যাম। বলেন।
আরাফঃআমিই বলছি।চুপ করে সব শুনবে। হ্যা না তে উত্তর দিবে।
তানভীরঃজ্বী।বলেন।
আরাফঃপাশে বিথি আছে?
তানভীরঃহ্যা।
আরাফঃতুমি বিথিকে আটক করো।আর জিজ্ঞাসাবাদ করো যে সে আদর চৌধুরীর সর্ম্পক কি কি জানে।
তানভীরঃমানে?
আরাফঃআদর চৌধুরী সে যাকে ধরতে আমি এতদিন অভিনয় করেছিলাম।আর বিথিও উনার সাথে মিলিত আছে।
তানভীরঃকিহহ!!
আরাফঃবিথি যাতে না পালাতে পারে।
আরাফ কট কর কল কেটে দিলো।
তানভীর পিছনে ফিরে দেখে বিথি কোথাও নেই।
তানভীরঃএতো দ্রুত কি করে পালাতে পারে!!
তানভীর বাইরে এসে দেখে বিথি একটা কালো গাড়িতে করে চলে গেলো।গাড়িতে আদর চৌধুরী ও ছিলেন।
তানভীরঃস্যার বিথি পালিয়ে গিয়েছে।
আরাফঃওয়াট!!
তানভীরঃসরি স্যার আদর স্যার ওকে নিয়ে গিয়েছে।এই মাত্রই তার গাড়ি গ্রিন রোড ক্রোস করেছে।
আরাফ গাড়ি গ্রিন রোডে দিকে ঘুরিয়ে নিলো।গাড়ীর স্পিড অনেক বাড়িয়ে দিলো।নবনিও আজকে কিছুই বলছে না আরাফকে।যে করেই হউক আদর চৌধুরী গাড়ি ধরতে হবে।
আরাফ দ্রুত গাড়ি চালিয়ে আদর চৌধুরীর গাড়ির কাছাকাছি চলে আসলো।তারপর এমন একটা কাজ করলো যেটাতে সবার জীবন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলো।আরাফ নিজের গাড়িটা আদর চৌধুরী গাড়ির সামনে এনে থামালো।
ড্রাইভার সঠিক সময়ে ব্রেক মারলো। না হয় এখনি দুইটা গাড়ি সংঘর্ষ এর মুখোমুখি হতো।
আদর চৌধুরীঃকি হয়েছে?
ড্রাইভারঃস্যার সামনে কার জানি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
আদর চৌধুরী গাড়ি থেকে নেমে আসেন।আরাফ নবনি আদর চৌধুরীর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
আদর চৌধুরীঃআরাফ! কই ছিলে তুমি এতোদিন?!
আদর চৌধুরী আরাফকে জড়িয়ে ধরলো।
আদর চৌধুরীঃআমি তোমাকে কত খুজেছি জানো!কোথায় চলে গিয়েছিলে?!!
আরাফঃকেন করলে এমন বাবা?কেন?!!
আদর চৌধুরীঃকি করেছি আমি?
আরাফঃআমি সব জেনে গিয়েছি বাবা।তুমি ফাইল চুরি করেছো।কেন করলে বাবা??কেনো।
নবনি বিথির কাছ থেকে মেহরাব আদ্রিতাকে কেড়ে নিলো।
আদর চৌধুরীঃতাহলে তুমি সব জেনে গিয়েছো?আমি জানতাম একদিন না একদিন তুমি সব জানবে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি এই দিনটা আসবে ভাবতেও পারি নাই।
নবনিঃবাবা।আপনি মেহরাব আদ্রিতাকে কেন নিয়ে গিয়েছিলেন?
আদর চৌধুরীঃবাসায় একা রাখতে পারতাম না তাই নিয়ে গিয়েছিলাম নবনি মা।কেন তুমি কি ভেবেছিলা আমি তাদেরকে কিডন্যাপ করেছি?
আরাফঃভাবাটা কি অন্যায়?তুমি কাজই এমন করেছো যে এখন কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা কিছুই বুঝতে পারছি না।
আদর চৌধুরীঃআমি বাবা হিসেবে কখনো খারাপ ছিলাম না আরাফ।না দাদা হিসেবে।তোমরা আমাকে ভুল বুঝেছো।
আরাফঃভুলতো বুঝেছেই।আরাফ মলিন হাসলো।
ফাইলটা দিয়ে দাও বাবা।
আদর চৌধুরীঃসেটা তুমি পাবেনা আরাফ। কারন আমার সামনে আমার ছেলে না বাংলাদেশ এর একজন আর্মী অফিসার দাঁড়িয়ে আছে।বাবা সব চাহিদা পূরন করতে পারলেও একজন দেশদ্রোহী পারে না।
আরাফ এর বুকটা ছেত করে উঠলে।
আরাফ করুন চোখে তার বাবার দিকে তাকালো।
আদর চৌধুরীঃআমি কখনো চাই নাই আর্মী অফিসার হও।তুমি আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই পথ বেছে নিয়েছো।
আরাফঃকেন চাও নাই তুমি?কেন?
আদর চৌধুরীঃকারন একজম আর্মী অফিসার দেশের দাসত্ব করে আর আমি চেয়েছি তুমি এই দেশে রাজত্ব করো।
আরাফঃআর্মী অফিসাররা দেশকে ভালোবাসে বলেই দেশের দাসত্ব করে আর একজন রাজাকেও রাজত্ব করতে দেশকে ভালোবাসতে হয় তাহলে পাথর্কটা কোথায়?
আদর চৌধুরীঃরাজত্ব করতে ভালোবাসতে হয় না।রাজার শাসন এক পাক্ষিক হয়। কেউ তার বিরোধিতা করতে পারে না।
আমি এই দেশকে ভালোবেসে ৩০ বছর দিয়েছি।সারা জীবন মানুষের ভালো মন্দ সুযোগ সুবিধার দিকটা দেখে গেলাম।আর সেই জনগন ভোট কাকে দেয় দুর্নীতিবিদদের। তাহলে এমন দেশ আর দেশের মানুষকে ভালোবেসে কি লাভ!!!
তাই আমি আমাদের দেশের আদিকালের শত্রু পাকিস্তান আর্মীর সাথে হাত মিলাই।তাদের জন্য কাজ করতে শুরু করি।
আমি তোমাকে এই জন্য সিক্রেট রুম বানিয়ে দিয়েছিলাম যাতে অস্ত্র গুলো আমার বাসায়ই থাকে।আর সুযোগ বুঝে তা পাচার করতে পারি।কিন্তু সেই চেষ্টায় আমি ব্যর্থ হই।
আমি দেশের বাইরে ছিলাম এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা তোমাকে মেরে অস্ত্রগুলো ব্যাপার এ জানতে চায়।দেশের মাটিতে পা রাখতেই নবনি আমাকে মেসেজ এলার্ট দেয়।আর আমি তোমাকে রক্ষা করি।
এ নিয়ে তাদের সাথে আমার অনেক কথা কাটাকাটি হয়।এরপর একদিন শুনি তুমি আর্মী ছেড়ে দিবে আমার থেকে বেশি খুশি সেদিন আর কেউই হয় নেই।
কিন্তু এই খুশি বেশিদিন স্থায়ী হলো না আর আমি জানতে পারি তুমি দেশের জন্য কাজ করা এক গোপন সংস্থায় যোগ দিয়েছো।আর তোমার কাছে একটা ফাইল আছে যেটাতে অনেক ইম্পটেন্ট তথ্য আছে।আমি জানতান সেটা তুমি সিক্রেট রুমেই রেখেছো। কিন্তু তোমার থাকাকালীন আমি সেটা নিতে পারতাম না তাই আমি তোমাকে গ্রামে তোমার দাদার কাছে পাঠিয়ে দেই।আমি জানতাম না সেখানে তুমি কোনো সমাধান পাবে আমি এটা শুধুই ফাইলটা সংগ্রহ করার জন্য বলেছিলাম।আল্লাহ তায়ালা সেখানে তোমার সমস্যার সমাধান লিখে রেখেছিলেন সেটা তোমার সৌভাগ্য ছিলো।
ফাইলটা চুরি করার কিছুদিন পর্যন্ত তুমি ভালোই ছিলে।।কিন্তু হঠাৎ একদিন তুমি নিখোঁজ হয়ে গেলে।আমি তোমাকে অনেক খুজলাম কিন্তু পাই নাই।একদিন নবনি এসে আমাকে বলে তুমি আমার অফিসেই আছো।
কথাটা শুনে আমি বুঝে ফেলি তুমি হয়তো ফাইলটার জন্যই কিছু বড় একটা প্লান করছো। তারপর আমি নবনিকে তোমার পিছনে লাগিয়ে দেই যাতে ও আমাকে সব বলতে পারে।আর বিথিকে নবনির পিছনে লাগিয়ে দেই যাতে নবনি কিছু না বললেও বিথি থেকে আমি সব জানতে পারি।
ড্রাগস আর ফাইলটা আমি অফিস এর স্টোর রুমে লুকিয়েছিলাম।কালকে নবনি যখন বললো তানভীর স্টোর রুম পরিষ্কার করছে তখন আমি ভয় পেয়ে যাই।
আর তখনই বেড়িয়ে পরি।সেদিন রাতে সুযোগ বুঝে আমি ড্রাগসগুলো সেখানে থেকে সরিয়ে ফেলি।
তুমি বলতে না আমার এতো টাকা কেন?রাজনীতি আমাকে এই টাকা দেয় নেই নেই টাকা আমি ড্রাগস বিক্রি করে অর্জন করতাম।দেশের তরুন সমাজকে অন্ধকার এর দিকে ঠেলে আমি দেশেই উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাড়াতাম।
ফাইলটা সেদিন আমি নিতে পারি নাই।সালাম অফিসে এসে পরেছিলো সে সময়।পরের দিন আমি ফাইলটা নিয়ে আসি।
আরাফঃফাইল কোথায়?আর ড্রাগস গুলো কি করেছো?
আদর চৌধুরীঃড্রাগস গুলো পাচার হয়ে গিয়েছে। আর ফাইল কোথায় আমি তোমাকে বলবো না।
আরাফ গান বের করে আদর চৌধুরীর দিকে তাক করে।
আদর চৌধুরীঃনিজের বাবাকে মারবে?
আরাফঃনা।দেশদ্রোহীকে মারবো।
আরাফ এর চোখে পানি ছলছল করছে।
আরাফঃবলে দাও ফাইল কোথায়!!তাহলে আমি তোমাকে ছেড়ে দিবো।
আদর চৌধুরীঃপারবি না। আমার হতচ্ছারা ছেলে।তুই নিজের বাবাকে মারতে পারবি না।
নবনিঃআরাফ বন্দুক নামান।কি করছেন নামান বলছি।
আদর চৌধুরীঃফায়ার আরাফ।হিট মি ড্যাম ইট।হিট মি।
নবনিঃনায়ায়ায়া।আরায়াফ। নামান আপনি।
আদর চৌধুরীঃপারবি না তো। আমি জানি তুই পারবি না।কারন তুই দেশ থেকে ও বেশী আমাকে ভালোবাসিস। তোর নিজের বাবাকে। আমি জানি আরাফ তুই আমাকে অনেক ভালোবাসিস।তুই আমাকে মারতে পারিস না।
নবনি মেহরাব আদ্রিতাকে নিচে নামিয়ে দিলো।
আদর চৌধুরীঃমার আরাফ।পারলে মার।
আরাফঃবাংলাদেশ এর আগে আমার কাছে আর কিছুই না বাবা।আমার মতো হাজারো আরাফ আর আরাফ এর পরিবার এর কুরবানী দিতে পারবো আমি।আই এম সরি বাবা।
আরাফ আদর চৌধুরীর বুকে গুলি করে।নবনি আদর চৌধুরীর সামনে যেয়ে দাঁড়ায় গুলি নবনির বুকে লাগে।
নবনির রক্তের ছিটে আরাগ এর মুখে এসে পরে।
আরাফঃনবনিইইইইইইই।
আদর চৌধুরীঃনবনি মায়ায়ায়ায়ায়া।
নবনি আদর চৌধুরীর বুকে ঢলে পরে।আরাফ নবনির কাছে ছুটে আসে।
আদর চৌধুরীঃএটা তুমি কি করলে মা।কেন করলে?
নবনিঃবিয়ের আগে থেকে যে মানুষটা আমাকে মা ছাড়া একবার ডাকে নেই,যে মানুষটা নিজের ছেলে থেকেও বেশি আমাকে ভালোবেসেছে,যে আমাকে লড়তে শিখিয়েছে,যে আমার ঢাল হয়ে ছিলো তাকে আমি কি করে মরতে দিতে পারি?বাবা।
একটু আগেই আমি মাকে হারিয়েছি আমার বাবাকে আমি হারাতে পারবো না।সবাই যতই বলুক আপনি দেশদ্রোহী কিন্তু আমি জানি আপনি আমার বাবা।আর কিছুই আমি মানবো না।আমি শুধু একটা কথাই জানি আপনি এমন একজন শশুড় ছিলেন যার স্বপ্ন প্রত্যেকটা মেয়ে দেখে।প্রত্যেকটা মেয়ে চায় যে তার শশুড় তাকে তার নিজের বাবা থেকে বেশি ভালোবাসবে। আর আপনি ভালোবেসেছেন।
একটা মেয়ের নিজের বিয়ে নিয়ে অনেক শখ থাকে।আমার মনে আছে বাবা।আমার বিয়ের সময় আমার আপন বাবাও বিয়ের জামা জোগাড় করতে পারে নাই।কিন্তু আপনি রাতের অন্ধকার এও আমার জন্য বিয়ের লেহেংগার পুরো দোকানে নিয়ে এসেছিলেন।
ছেলের বউ এর এমন আবদার পূরন কয়জন শশুড় করে।বাবা আর স্বামীতো সব সময়ই একটা মেয়েকে রাজকুমারী করে রাখে।
কিন্তু আমি গর্ব করে বলতে পারবো আমার শশুড় আমাকে রাজরানী করে রেখেছে।ভালোবাসি বাবা।
নবনি চোখ বন্ধ করে নিলো।
আরাফ নবনিকে জড়িয়ে ধরলো।
নবনিপাখি।উঠো।উঠো না কলিজা।আমি কি নিয়ে বাচবো।নবনিপাখি চোখ খুলো।
আরাফ নবনিকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
আদর চৌধুরী উঠে দাড়ালেন।নবনির সাথের কাটানো স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
আদর চৌধুরী ~
আরাফ এর চোখে ঘৃণা স্পষ্ট দেখা দিচ্ছে।নবনি বলেছিলো মাকে হারিয়েছি।তার মানে নিলীমা চৌধুরী আমার নীলু বেচে নেই।সে চলে গিয়েছে আমাকে ছেড়ে।আমার ভালোবাসা আর বেচে নেই।
আমার নবনি মা আমার জন্য জীবন দিয়ে দিলো। আমি কার জন্য বাঁচবো। আমার বাচার কোনো পথই আর নেই।আমি রাজনীতিকে ভালোবাসতে রাজার জীবন কামনা করে আমার ছোট্ট রাজ্যকে ধ্বংস করে দিলাম।
হ্যা। আমার রাজ্য।আমার নবনি মা বলেছে আমি তাকে রাজরানির মতো রেখেছি।তার মানে আমার রাজ্য ছিলো।আমার পরিবারই আমার রাজ্য ছিলো।আমি এটা কি করলাম! আমার দেশ আমাকে এই জমিনে দাঁড়ানোর, স্বাধীন ভাবে বাচার অধিকার দিয়েছে আর আমি সেই দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছিলাম।
তুমি আমার চোখ খুলে দিয়েছো নবনি মা।
আরাফ গুলির শব্দ শুনলো।সাথে সাথে আদর চৌধুরীর দিকে তাকালো আদর চৌধুরী মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন।আরাফ স্তব্ধ হয়ে গেলো।
বাবাকে যেয়ে জড়িয়ে ধরার শক্তিটাও কাজ করছে না।মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে গিয়েছে।
মেহরাব আদৃতা হামাগুড়ি দিয়ে আদর চৌধুরী কাছে যায়।
আদর চৌধুরী আদো আদো চোখে তাদেরকে দেখছেন।
মেহরাবঃদাদ্দা।দাদ্দা
আদ্রিতা কান্না করছে আর দা দা বলছে।
আদর চৌধুরীঃদুই জনকে জড়িয়ে নিলেন। তোমরা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।নবনি মা দেখো ওরা আরাফ এর মতো না। ওরা আমাকে দাদা ডেকেছে।ওরা তোমার মতো হয়েছে।
আরাফ একহাতে নবনিকে আর এক হাতে আদর চৌধুরীকে জড়িয়ে নিলো।
আরাফঃআমি ভালোবাসি না তোমাকে?ভালোবাসি না?আমি বলি না দেখে আমি ভালোবাসি নাই?আমি তোমাকে সবার থেকে বেশী ভালোবেসেছি।তুমি আমার বটগাছ। যার ছায়ায় আমি এই পর্যন্ত এসেছি।তুমি আমাকে আর্মী হতে নিষেধ করলেও তুমি আমার সব খরচ বহন করেছো।রেগে থেকে ও সব সময় চেয়েছো তোমার ছেলে যাতে উঁচু পদে যেতে পারে।
ও বাবা।আমাকে এতিম কেন করে দিলে?কেন করলে বাবা?আমার কি হবে।আমার সন্তান্দের কে বড় করবে।
তুমি মা নবনি সবাই আমাদের ছেড়ে কেনো চলে যাচ্ছো?আমি কি নিয়া বাঁচবো?? আমার কি হবে?
আদর চৌধুরীঃআমাকে ক্ষমা করে দিস বাবা।আর এই হতচ্ছারা তুই কাদছিস কেন?
আমি তোর সব আবদার পূরন করেছি।
ফাইল আর ড্রাগস তোর সিক্রেট রুমেই আছে।
বাচ্চাদের মতো একদম কাদবি না।তোর মা একা ভয় পাবে রে কবরে। আমাকে যেতে দে।আমি নীলুকে দেখে রাখবো। তুই নবনি মাকে হাসপাতালে নিয়ে যা।
তোকে আর তোর বাচ্চাদের সামনে হতচ্ছারা ডাক শুনতে হবে না রে।আমার মেয়েটাকে দেখে রাখিস। আর রাজরানী করে রাখিস।
আদর চৌধুরীঃলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদূর রাসুলুল্লাহ ❤️
চোখ বন্ধ করে নিলেন।
আরাফ এক হাতে নবনিকে আর এক হাতে বাবাকে জড়িয়ে নিলো।বাচ্চারা খালি রাস্তায় কান্না করছে।আদর চৌধুরী থাকলে এখনই এদের বুকে লুকিয়ে নিতেন।
আরাফ আল্লাহহহহ বলে জোরে চিৎকার করলো।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
৬০তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন