উপন্যাস         :         শরম 
লেখিকা          :         তসলিমা নাসরিন
গ্রন্থ               :         শরম 
প্রকাশকাল      :       

জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বহুল আলোচিত উপন্যাস 'লজ্জা'। ১৯৯৩ সালে এটি বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশের প্রথম ছয় মাসেই বইটি পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বৈধ কপি বিক্রি হয়। এরপর ধর্মীয় মৌলিবাদিদের একতরফা বিতর্কের মুখে উপন্যাসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালিন বাংলাদেশ সরকার। পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসটি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি লেখার কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। 

পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসের নায়কের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দেখা হয়েছিলো লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। সেই অনুভূতিকে পুজি করে তিনি লিখলেন নতুন উপন্যাস 'শরম'। এ উপন্যাসটি কবিয়াল পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো।
শরম || তসলিমা নাসরিন
শরম || তসলিমা নাসরিন

৯ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

শরম || তসলিমা নাসরিন (পর্ব - ১০)


- কী করে জানলো ওরা?
- মিথ্যে বলেছে। এ রকম কিছু একটা বললে জানে যে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধবে। তাই বলেছে। লোকে চায় মজা দেখতে। আমি যত বলি মুসলমানরা ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। যত বলি, কতগুলো গুণ্ডাপাণ্ডা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, আমার কোনও উপায় ছিল না নিজেকে বাঁচানোর। কিছুতে কিছু শোনে না। 

সুরঞ্জন যে গল্পটা জানে, জুলেখা সেটা জানে না। জুলেখা জানে তাকে কেউ ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। আমজাদ বা এ রকম নামের কেউ। এ পাড়ার কোথাও কোনও ঘরে ঘটেছে কিছু। সুরঞ্জন শুনেছিলো সব ঘটনা, জুলেখা বলেছিলো। বলেছিলো, সেই রাতে মহব্বত হোসেন চূড়ান্ত অসভ্যতা করেছে। শাড়িখানা প্রায় গা থেকে কেড়ে নিয়ে, প্রায় ন্যাংটো করে, ঘৃণা ছিটিয়ে ছিটিয়ে সারা গায়ে, জিজ্ঞেস করেছিলো, কী করেছে ওরা?

নিরুত্তর ছিল সে! মহব্বতের চোখ থেকে আগুন ঠিকরে বেরোচ্ছিল। কপালের শিরাগুলো আরও নীল হয়ে, আরও ফুলে, আরও ফেটে বেরোচ্ছিল। অস্থির পায়চারি করতে করতে বলেছিলো- হারামজাদি এখনও বল, তোর ইজ্জত নিয়েছে নাকি ওরা।

জুলেখা চুপ করে থাকে। তারপর যখন বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে মারতে থাকে সামনে যা পাচ্ছে তা দিয়ে। ভাঙা চেয়ারের পায়া খুলে এনে। কাঁচের ফুলদানি দিয়ে। শক্ত শক্ত জুতো দিয়ে। জুলেখা বললো- হ্যাঁ, যা করার করেছে ওরা।
- কী বললি তুই?
- যা বলার তা তো বলেইছি।
- আবার বল।
- যা করতে পারে শুয়োরের বাচ্চারা, সব করেছে। এ কি আমার দোষ?
জুলেখা চিৎকার করে, – এ কি আমার দোষ? কী দোষ করেছি যে মারছো?


জুলেখার কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয়নি মহব্বত। সেই রাতের ঘটনা যখন সুরঞ্জন জুলেখার কাছে শুনছিল, প্রশ্নগুলো সুরঞ্জন নিজেকেই করছিল। মহব্বতের কাছে উত্তর নেই। উত্তর কি তার কাছে আছে? কী দোষ জুলেখা করেছিলো?

জ্বরে পুড়ে যাওয়া জুলেখাকে প্রায় পাঁজাকোলা করে তুলে ট্যাক্সিতে বসিয়ে চার নম্বর ব্রিজের কাছে এম ডি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ কিনে রেখে যায় বাড়িতে।

কাজের মেয়ে পরিচয় জিজ্ঞেস করলে জুলেখা বলে— আমার দেশের লোক। বীরভূমের। সম্পর্কে ভাই হয়। নাম সফিকুল।

সফিকুল বেরিয়ে যায়। শহরময় ঘোরে। উদভ্রান্তের মতো। কোনও মাঠে বা কোনও পার্কের বেঞ্চে আকাশের দিকে মুখ করে শুয়ে থাকে। আর ঘন্টাখানিক পর পর ফোন করে জানতে চায় সুরঞ্জন কোনও প্রয়োজন আছে কিনা, জ্বর সারছে কিনা। গা ব্যথা কমেছে কি না। কোনও ডাক্তার ডাকা জরুরি কিনা। জুলেখার করুণ কাতর মুখটি সুরঞ্জনের সারাক্ষণ মনে পড়ে।

সুরঞ্জন পরে একদিন জানতে চেয়েছিল জুলেখা কেন চিৎকার করেনি ধর্ষণের দিন। কেন লোক ডাকার চেষ্টা করেনি। কেন কাউকে খামচে খামচে পালাবার চেষ্টা করেনি। জুলেখা ধীরে ধীরে বলেছিল কেন সে চিৎকার করেনি, সুরঞ্জনের কোলে মাথা রেখে একটু একটু করে। জুলেখার চোখ থেকে চোখের জল সুরঞ্জনের খোলা বুকে এসে টুপটুপ পড়ছিল। সুরঞ্জনের বাঁ হাত ছিল জুলেখাকে জড়িয়ে তার পিঠে। ডান বাহু ছিল নিজের চোখ দুটোর ওপরে। 

সুরঞ্জন তখন ঘোরে, গল্পটি একটু একটু করে মাথাচাড়া দিচ্ছে। ঘোরে সুরঞ্জন, গল্পটি মাথাচাড়া দিচ্ছে। সুরঞ্জন চোখের সামনে যেন দেখতে পাচ্ছে কী করে ঘটনাটি ঘটলো। কী করে একপাল দুর্বৃত্ত জুলেখাকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেল। কী করে ওই ধর্ষকদের হাত থেকে সুরঞ্জন বাঁচালো জুলেখাকে। এই গল্পটি ধীরে ধীরে একটু একটু করে সুরঞ্জন জুলেখাকে বলে। জুলেখা বিশ্বাস করতে চায় না, কিন্তু বিশ্বাস করতে তার ভালো লাগে। তার ভালো লাগে বিশ্বাস করতে যে, সুরঞ্জন নামের হিন্দু ছেলেটির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তা নেহাত। 


- আমার তো চোখ বাঁধা ছিল। কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না আমি।
জুলেখা বলেছে।
- চোখ কে বেঁধেছিল? সুরঞ্জন জিজ্ঞেস করে।
জুলেখা কঠিন কণ্ঠে বলে- আমজাদ নামের লোক।
- কী করে জানো, আমজাদ?
- জানি।
- আমজাদ তো আমার বন্ধু।
- আমজাদ নামে কি আর লোক নেই নাকি?
- পার্ক সার্কাসের আমজাদ তো আমারই বন্ধু।
- তাহলে কি তোমার বন্ধুরাই ঘটিয়েছে?
- হ্যাঁ, আমার বন্ধুরাই। তবে বন্ধু নামের কলঙ্ক ওরা। ওদের আমি ত্যাগ করেছি। তবে কী জানো?
- কী!
- আমজাদ নামের কেউ ওখানে ছিল না।
– ছিল। আমি শুনেছি এই পাড়াতেই।
- না, এই পাড়াতেই না। অন্য পাড়ায়। 
- ওরা মুসলমান ছিল।
- না, ওরা মুসলমান ছিল না। ওরা সবাই হিন্দু ছিল।
- না। হিন্দুদের অত সাহস হবে না। অত সাহস হিন্দুদের হয় না। 
- আমি জানি আমজাদ ছিল দলের লিডার।
- ভুল জানো।
- চোখ বাঁধা ছিল আমার। জানি না কখন বাঁধন খুলেছে।
- তোমার চোখ খোলা ছিল জুলেখা। তুমি সব দেখেছো। দেখেছো আমাকে।
- তোমাকে দেখিনি আমি।
- আমি ছিলাম।
- কী করে তুমি থাকবে? তুমি কি ওদের মতো বাজে লোক নাকি?
- বাজে লোক নই বলেই বাজে কাজ করিনি। তোমাকে বাঁচিয়েছি ওদের হাত থেকে।
- তুমি কেন এসব বলছো সুরঞ্জন? আমজাদের সঙ্গে তোমার কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনার সময় তুমি ছিলে না ওখানে।
- কী করে জানো? তুমিই তো বলছো তোমার চোখ বাঁধা ছিল।
- কিন্তু তুমি তো বলছো আমার চোখ খোলা ছিল। আমি তো তোমাকে দেখিনি।
- তুমি এখন অস্বীকার করছো।
- কী লাভ?
- আমাকে বাঁচাতে চাইছো।
- কেন, তুমি আমাকে বাঁচিয়েছো বলে?
- হয়তো বা।
- হেঁয়ালি করছি না।


সিগারেটের শরীরে গাঁজা ভরে টান দেয় সুরঞ্জন। জুলেখাকেও টানতে বলে। বুঁদ হয়ে থাকে দুজন। দুজনের চোখ ঝাপসা হতে থাকে। শব্দগুলো জড়িয়ে ধরতে থাকে শব্দগুলোকে। সুরঞ্জনের গল্পগুলো পাক খেতে থাকে। জুলেখার ঘটনা কণ্ডুলী পাকিয়ে সেই পাকের মধ্যে হারিয়ে যেতে থাকে। সুরঞ্জন কি জুলেখাকে এই সেদিন থেকে চেনে। ঘটনা বা দুর্ঘটনার পর থেকে? জুলেখাকে চেনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ওই মামাই স্বীকার করতে চায় না আমাকে কোনও মুসলমান ধরে নিয়ে গিয়েছিল, বলে হিন্দুরা, হিন্দুরা। কিন্তু আমি তো জানি হিন্দুরা নয়। আমজাদ ছিল। আমজাদ মুসলমান। কোনও হিন্দুর সাহস হবে না মুসলমান মেয়ের গায়ে হাত দেয়। 
- আমজাদ বলে কেউ ছিল না ওখানে। আমজাদ আমার বন্ধু। সুরঞ্জন বলে।
- না, বললাম তো। এই আমজাদ তোমার বন্ধু আমজাদ নয়। এ অন্য আমজাদ। এর ডাকনাম বাদশাহ।
- না।
- কী না?
- তুমি তো আমার বন্ধু আমজাদকে চেনো। চেনো না?
- এটা দাড়িঅলা আমজাদ। তোমার বন্ধুর দাড়ি নেই।
- কী করে জানো?
- জানি।
- তোমার চোখ তো বাঁধা ছিল বললে।
- ছিল, তার পরও জানি।
- কেন তোমাকে তুলে নেবে ওরা?
- কারণ আছে। 
- কারণ বলো।
- বলবো না।
- মহব্বত কোনও কারণ?
- না।
- মহব্বতের ওপর প্রতিশোধ?
- না। 
- তাহলে?
- আমজাদ আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। রাজি হইনি।
- বাজে কথা।
- বলতো, মার্ডার করবো।
- কেইস করছো না কেন?
- ঝমেলায় কে যায়! এসব কি একা করা যায়? নাকি করলে আমার রক্ষে আছে? এই সমাজটাকে এখনও জানো না। আমি তো এই সমাজের জন্য সুইটেবল নই। নই বলেই তোমার সঙ্গে যা ইচ্ছে তাই করতে পারছি।
- যা ইচ্ছে তাই?
- হ্যাঁ, যা ইচ্ছে তাই।
- আমি একটা বাজে ছেলে ছিলাম জুলেখা। আমি ওই ধর্ষকদের দলে ছিলাম। তুমি জানো তো সব। ওই অচিন্ত্য। ওই বিশ্ব... 
- তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তুমি হিন্দু হয়ে হিন্দুদের দোষ দিচ্ছ।
- তুমি মুসলমান হয়ে মুসলমানদের দোষ দিচ্ছে।
- দোষ দিচ্ছি, কারণ ঘটনাটা ওরাই ঘটিয়েছে। 
- না। আমি জানি কারা ঘটিয়েছে। আমি তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। তা তো অন্তত মনে আছে?
- না। আমার চোখ বাঁধা ছিল। আমি জানি না কে পৌঁছে দিয়েছে।
- আমি দিয়েছি। 
- তুমি দাওনি। আমজাদ আমাকে বাড়ির সিঁড়িতে রেখে চলে গেছে। 
- জুলেখা তুমি এখন ভালো আছো। কারও বিরুদ্ধে তোমার কোনও কেইস করার দরকার নেই। তুমি ভুলে যাও পেছনের কথা। শুধু আমার দিকে তাকাও, শুধু ভালো কথা বলো। ভালোবাসার কথা বলো। ওই সব রেইপ, কিডন্যাপ— শব্দগুলোকে হেইট করি।


জুলেখা বলছিল, - আমি তো প্রতিরাতেই ধর্ষিতা হতাম সুরঞ্জন। আমার বর কি আমাকে কোনও দিন ভালোবেসে ছুঁয়েছে? ওভাবেই, তোমার বন্ধুরা আমার ওপর যা করেছিল, প্রায় ওভাবেই তো আমার স্বামী আমার ওপর অত্যাচার করতো। অত্যাচারের ফসল ওই বাচ্চা। আমি তো কোনও দিন সুখ পাইনি মিলনে। কেবল তোমার সঙ্গেই পেয়েছি। তুমিই আমাকে প্রথম সুখের মুখ দেখালে। আমার জন্য এই সঙ্গম এই সব ধর্ষণ ছাড়া, অত্যাচার ছাড়া আর কিছু ছিল না।

একটু থেমে, বুকে পড়া জলগুলো মুছে দিয়ে আবার বলছিল- যখন ওরা আমাকে ধরে নিয়ে গেল, বুঝতে পাচ্ছিলাম যে সবাই মিলে ধর্ষণ করবে। সবাই মদ খেয়ে টাল হয়ে আছে। আমি চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে যদি কেউ, গলা টিপে ধরে যদি, যদি পকেট থেকে ছুরি বের করে গলাটা কেটে দেয়। যদি মেরে ফেলে। ধর্ষণ সে তো আমার কাছে নতুন নয়। আমি মরতে চাইছিলাম না। আমি তাই সহ্য করছিলাম, এমন কিছু করিনি, যা করলে ওরা কেউ রাগ করতে পারে। মেরে ফেলতে পারে।
— মিছিমিছি আমজাদের দোষ দিও না।
- কী লাভ আমার? ঠোঁট উল্টে বলে জুলেখা।
- শোধ নিচ্ছ।
- কিসের শোধ?
- তোমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। ওই চেয়েছিল পর্যন্তই। জোর করে তোমাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়েটা সত্যি সত্যি করেনি বলে। 
জুলেখার বিস্মিত দু চোখ।
সুরঞ্জন বলে- যদি সত্যি আমজাদরা করতো, তোমার মতো ডেয়ারিং মেয়ে কেইস করতো না, এ আমি বিশ্বাস করি না।

জুলেখা সুরঞ্জনের অর্থহীন কথাবার্তার কোনও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। তার মনে পড়ে সেদিনের ঘটনার পর প্রায় প্রতিদিন বাড়ি ফিরে ঘেন্না ছড়াত মহব্বত। জুলেখা তার বাড়িতে একটা বাড়তি লোক। একটা নষ্ট মেয়েলোক। একে মহব্বত চায়না। চোখের সামনে থেকে এই মেয়েলোক দূরে চলে যাক। জুলেখার বাপের বাড়িতে খবর দিয়েও, মামাকে খবর দিয়েও কোনও হিল্লে হলো না। কেউ জুলেখাকে নিতে এলো না।


ঘাড় ধরে বেশ কয়েকবার ধাক্কা দিয়েছে মহব্বত। কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছে জুলেখা। প্রতিবারই সে বলেছে, পুলিশ ডাকবে। বেরোলে সোহাগকে নিয়েই জন্মের মতো বেরোবে বলে দিয়েছে। সোহাগের প্রতি টান মহব্বতের প্রচণ্ড। সোহাগকে ছেড়ে তার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এভাবে ছ মাস কেটেছে। ছ মাস পর মহব্বত নিজে দেখেশুনে একটা বিয়ে করে নিয়েছে। গ্রামের মেয়ে। লেখাপড়া ছ-সাত ক্লাস। বউ নিয়ে স্বামী অন্য ঘরে শোয়। আর জুলেখা সোহাগকে বুকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় দুর্ভাবনায় রাত কাটায় রাতের পরে রাত। মহব্বতের বাড়িতে ছেঁড়া পাপোশের মতো জীবন কাটাতো জুলেখা। 

চলবে.......

১১তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ: 
জনপ্রিয় প্রথাবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৬২ সালের ২৫ আগষ্ট ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৭৮ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাস করেন। তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল অবদি চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেলে কর্মরত ছিলেন। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে লেখালেখি নয়তো চাকুরি ছাড়তে বললে তিনি লেখালেখি ছাড়েন নি। বরং সরকারি চিকিৎসকের চাকুরিটিই ছেড়ে দেন তিনি। তখন এই লেখিকাকে কেন্দ্র করে উগ্র মৌলবাদীদের আন্দোলনে উত্তাল ছিলো পুরো দেশ। বেশ কিছু মামলাও হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। শেষে এককথায় বাধ্য হয়েই দেশত্যাগ করেন নারীমুক্তির অন্যতম অগ্রপথিক তসলিমা নাসরিন। এরপর তিনি নির্বাসিত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন