উপন্যাস : শরম
লেখিকা : তসলিমা নাসরিন
গ্রন্থ : শরম
প্রকাশকাল :
জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বহুল আলোচিত উপন্যাস 'লজ্জা'। ১৯৯৩ সালে এটি বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশের প্রথম ছয় মাসেই বইটি পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বৈধ কপি বিক্রি হয়। এরপর ধর্মীয় মৌলিবাদিদের একতরফা বিতর্কের মুখে উপন্যাসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালিন বাংলাদেশ সরকার। পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসটি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি লেখার কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে।পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসের নায়কের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দেখা হয়েছিলো লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। সেই অনুভূতিকে পুজি করে তিনি লিখলেন নতুন উপন্যাস 'শরম'। এ উপন্যাসটি কবিয়াল পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো।
![]() |
শরম || তসলিমা নাসরিন |
11111111111111111111111111111
১৫ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
শরম || তসলিমা নাসরিন (পর্ব - ১৬)
জুলেখার সঙ্গে সুরঞ্জনের সম্পর্কের কথা জানার পর ভীষণ রকম ক্ষিপ্ত মায়া। সুরঞ্জনকে সে বলে দিয়েছে, ওই সম্পর্ক থাকলে আমার সঙ্গে তোর কোনও সম্পর্ক থাকবে না। যে কোনও একটা তোর বেছে নিতে হবে দাদা।
মায়ার এই দাদা ডাকটি সে কখনও শুনবে না, এ সুরঞ্জন কল্পনা করতে পারবে না। পৃথিবী ভেসে যাক, মায়ার জন্য সর্বস্ব সে বিসর্জন দেবে। কিরণময়ীও চান না সুরঞ্জন জুলেখাকে বিয়ে করুক। জুলেখা বাড়ি আসে। মেয়েটি স্বভাব-চরিত্রে ভালো, অমায়িক ভদ্র, ওর সঙ্গে কথা বলে তাঁরও ভালো সময় কাটে সবচেয়ে বড় কথা, সুরঞ্জন খুশি থাকে। চোখের সামনে দরজা বন্ধ করে দুই বন্ধুতে সময় কাটায়, প্রেমের সম্পর্ক আছে বলেই কাটায়। কিরণময়ীর বরং মনে হয় বাজে ছেলে-ছোকরাদের সঙ্গে মেশার চেয়ে ঘরে বসে প্রেম করা ভালো। বউ ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে, একা পুরুষ মানুষ, সঙ্গী-সাথি না থাকলে কি আর মন ভালো থাকে? কিরণময়ী এভাবে নিজেকে বোঝায়। মায়াকে বোঝায়। কিন্তু মায়ার সাফ কথা, বিয়ের তো প্রশ্ন ওঠে না, এই মেয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা চলবে না।
মায়া কি খামোখা বলে? মায়ার কি মনে নেই দাঙ্গার সময় ঢাকার সেই সব দুঃস্বপ্নের কথা! মায়াকে ছিঁড়ে খায়নি ওই মুসলমানের বাচ্চাগুলো। মায়া পৃথিবীর সবাইকে ক্ষমা করে দিতে পারে, মুসলমানকে করবে না। যে মায়ার জন্য সুদেষ্ণার সঙ্গে তার বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটে গেল, সেই মায়াই কিনা বলছে সুরঞ্জন যদি অন্য কোনও মেয়ের দেখা না পায়, তাহলে ওই সুদেষ্ণার কাছেই ফিরে যাক, সুদেষ্ণার সঙ্গে সম্পর্কটা নতুন করে জোড়া লাগিয়ে নিক সুরঞ্জন। সুদেষ্ণা বিয়ে থা করেনি আর। সুতরাং সম্ভাবনা তো আছেই। ওই মুসলমান মেয়ের সঙ্গে আজই এই মুহূর্তে সব সম্পর্ক ছিন্ন করুক সে। কিরণময়ীর ঘরে বিছানায় বসে মায়া কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে এসব।
কিরণময়ী চেয়ারে বসা। দরজায় দাঁড়ানো সুরঞ্জন। জানালার ওপাশে কলের তলে জল নেওয়ার হুল্লোড়। হু হু করে জানালার পর্দা উড়ছে। আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি এখানে হিন্দু। কান্না যদি কেউ শুনতে চায়, কান পাতলেই শুনতে পাবে।
কিরণময়ী দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে আমার জীবনে সুখ আর হলো না। মায়া তীক্ষ্ণ চোখে তাকায় কিরণময়ীর দিকে, আমি না হয় দিইনি, তোমার নয়নের মণি পুত্র তোমাকে সুখ দিচ্ছে না কেন! এত জায়গা থাকতে এখানে এসে উঠেছো কেন! যত সব সন্ত্রাসীদের জায়গা দুদুটো বাড়ি পেরোলেই তো লাইন ধরে মুসলমানদের বাড়ি। এখানে কে দেবে নিরাপত্তা তোমাকে?
মায়া ফুঁপিয়ে কাঁদে। ওই কান্নার দিকে তাকিয়ে সুরঞ্জনের খুব মায়া হয়। সে কী করবে বুঝতে পারে না। মায়া তার একটিই বোন, আদরের বোন। একসঙ্গে তাঁতিবাজারের বাড়িতে বড় হয়েছে। দাদা ছাড়া মেয়েটা কিছুই বুঝতো না। সেই বোনটা বুকে কী যন্ত্রণা পুষে যে কাঁদছে, সুরঞ্জন বোঝে। মায়ার প্রতিটি কথা, না-কথা, প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস, হাসি, সব জানে সে। যদি পারতো সুরঞ্জন জুলেখার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে, আজই করতো। না জুলেখা মুসলমান বলে নয়, শুধু মায়ার জন্য, মায়া চায় বলে। আর অন্য কোনও কারণ নেই। সুদেষ্ণার সঙ্গে হবে না তার। যে সম্পর্ক ভেঙে যায় ওভাবে, সামান্য টোকায়, ওই সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কোনও অর্থ হয় না, ওটি যে কোনো সময়ই ভেঙ্গে যাবে, সামান্য টোকায়। তার চেয়ে একা থাকা ভালো।
যখনই সে ভাবছে সুদেষ্ণার থাকার চেয়ে একা থাকা ভালো, এ কথা। তখনই মায়া বললো, তার চেয়ে দাদার একা থাকাই ভালো। থাকছে না লোকে! আমি যে থাকছি, ওই থাকা তো অনেকটা একা থাকার মতোই। বলে কেঁদে উঠলো মায়া। অনেকক্ষণ কাঁদে। কিরণময়ীর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদে। মায়ার কান্না ছাড়া ঘরে আর কোনও শব্দ নেই। কেউ তাকে থামতে বলে না। কারণ কারও অনুরোধ মায়াকে থামাতে পারবে না। মায়ার প্রয়োজন এখানে মায়ের বাড়িতে এসে তার জীবনের সব অতৃপ্তি আর অশান্তির জন্য প্রাণ খুলে কাঁদা। এই কান্নাটুকু না কাঁদলে তার পক্ষে সম্ভব হবে না সপ্তাহের বাকি কটা দিন না কেঁদে বাঁচা। বুকে অনেক কষ্ট সে পাথরের মতো জমিয়ে রাখে। মা আর দাদার সান্নিধ্যেই পাথর গলে নদী হয়। সুরঞ্জন দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তার আজ যদি অঢেল টাকা থাকতো, একটা ভালো এলাকায় বড় একটা বাড়ি ভাড়া নিত, মায়া আর দু বাচ্চাকে সে নিয়ে চলে আসতো নিজের কাছে। সুরঞ্জন নিজের জন্য নয়, কিরণময়ীর জন্য নয়, এমনকি জুলেখার জন্যও নয়, কেবল মায়াকে দেখলেই নিজের দারিদ্র্যের জন্য আফসোস করে। মায়াকে আগে একদিন সে বলেছে, ভালো একটা চাকরি পেতে পারতাম যদি, অথবা অনেক টাকা হয় এমন কোনও কাজ, তাহলে তোর আর কোনও কষ্ট হতো না, তোকে আর থাকতে হতো না ওই শয়তানের সঙ্গে।
মায়া শুনে দাদাকে জড়িয়ে ধরেছে। সুরঞ্জন চোখের উপচে ওঠা জল সামলে বলেছে, যত দিন না পারি, তোর এই অক্ষম দাদাকে তুই ক্ষমা করিস না।
মায়া এভাবে আর সপ্তাহে একগাদা অভিযোগ নিয়ে আসছে না, কাঁদছে না, এ রকম যদি হতো। যদি মায়ার সুখ হতো! সুখ আমার ভাগ্যে নেই দাদা....
সুরঞ্জন ভাগ্যে বিশ্বাস করে না। সে জানে ভাগ্য বলতে কিছু নেই। কিছুই আগে থেকে লেখা থাকে না। মায়া যেমন চায়, তেমনভাবে বেঁচে থাকতে পারতো যদি টাকা থাকতো অনেক। টাকাই যে সব সুখ দেয়, তাও বিশ্বাস করে না সে। টাকাওয়ালা অনেক লোককে সে দেখেছে, স্বস্তি নেই। এখনকার চেয়ে অনেক বেশি টাকা যখন ছিল সুরঞ্জনের, তার চেয়ে সে যে ভালো আছে এখন, এটা তো নিশ্চিত। সুদেষ্ণার সঙ্গে বাড়ি ফিরেই যখন ঝগড়া হতো, মদের বোতল নিয়ে সে বসতো নন্দননগরের বাড়িতে। সুদেষ্ণা এক ঘরে। অন্যঘরে সুরঞ্জন। কিরণময়ী রাতে রাতে এসে বোতল কেড়ে নিয়ে বলতো, কার অসুবিধে করছিস নিজের ছাড়া? কারও ওপর শোধ নিচ্ছিস বলে মনে হচ্ছে? না। না। তোর মদ খাওয়ায় কারও কিছু হবে না। মরলে তুই মরবি। অন্য কেউ মরবে না। এসব বলে কোনও লাভ হতো না সত্যিকারের। সুরঞ্জন খেতই। ওখানেই ওই বেতের চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়তো ঠ্যাং ছড়িয়ে। এসবে সুদেষ্ণার কিছু যেত আসত না। সুদেষ্ণা বিয়ে করেছিল ঠিকই কিন্তু বিয়ের পরই বুঝেছে, এ ছেলের ভেতরে বাইরে গাদা গাদা আক্রোশ ছাড়া কিছু নেই। যা আছে তাকে ব্যক্তিত্ব বলে অনেকের ভুল হতে পারে, কিন্তু সে প্রচণ্ড স্বার্থপর, একই সঙ্গে উদাসীন। সে ঠাণ্ডা মাথায় মানুষকে খুন করতে পারে, আবার ইচ্ছে হলে কাউকে জলে ঝাঁটিয়ে বাঁচাতেও পারে। দুটো চরিত্র পাশাপাশি। এর সঙ্গে, সুদেষ্ণা বুঝে যায়, কোনও সুস্থ মানুষের বাস করা সম্ভব নয়।
সুরঞ্জন বাঁচাতে পারেনি মায়াকে। মায়াকে বাঁচানোর স্বপ্ন ছিল তার। মায়াকে মুসলমানদের ওই ধরে নিয়ে যাওয়া তাকে উন্মাদ করে তুলেছিল। নিজের জীবন দিয়ে হলেও সে চেয়েছিল মায়াকে ওদের কবল থেকে উদ্ধার করতে। পারেনি। ব্যর্থ ছেলেটি যখন দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যে দেশে যে দেশে হিন্দু বলে কারও নিরাপত্তা নেই, যে দেশে তার আদরের ছোট বোনটি নিরাপদ নয়, সে দেশ ছাড়বে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে শেষ বাঁধাছাঁদা করেছে, ভোরবেলা দরজা খুলে দেখে সিঁড়ির কাছে পড়ে রয়েছে মায়ার শরীর। সুরঞ্জন আর্তচিৎকার করে ওঠে মায়াকে ওই অবস্থায় দেখে। মৃত মায়া। মৃতই ভেবেছিল সে। কোলে করে ভেতরে আনতেই সুধাময় নাড়ি দেখছেন, স্টোথোসকোপ বুকে লাগিয়ে থরথর করে কাঁপছেন। আর কিরণময়ী মায়ার ঠাণ্ডা শরীরে হাত বুলোচ্ছেন। সুধাময় অস্ফুট স্বরে শুধু বললেন, শিগগির হাসপাতালে নিয়ে যা। বেঁচে আছে। শুনে কিরণময়ী কেবল হাউমাউ করে কাঁদলেন। ওই অবস্থাতেই সুরঞ্জন বেরিয়ে পড়লো মায়াকে কোলে তুলে। পেছনে কিরণময়ী। সাধ্য থাকলে সুধাময় যেতেন। রিকশায় তুলে সোজা পিজি হাসপাতাল। স্যালাইন চলেছে, রক্ত চলেছে। কড়া কড়া ইনজেকশন। মায়া চোখ মেললো, কথা বললো দুদিন পর। না, সিদ্ধান্ত কেউ বদলায়নি। মায়া হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবার পরই এক আত্মীয়ের হাতে বাড়ি-ঘরের ভার দিয়ে ভারত পাড়ি দিয়েছিল সুরঞ্জন। মায়াকে কোনও দিন জিজ্ঞেস করেনি কী হয়েছিল, কী করেছিল ওরা। মায়া তার পর থেকে হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে উঠতো। কেন কাঁদছে কিছু বলতো না। সুরঞ্জন বা কিরণময়ী তখন মায়ার মাথাটা নিজের কাঁধে নিত, কাঁধটা দিত কাঁদতে, বা পিঠে হাত বুলিয়ে দিত, বা জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গনের উষ্ণতা দিয়ে বোঝাতে চাইতো আমরা আছি তোমার পাশে।
যে দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে তাদের উঠতে হয়েছিল, সেখানে মায়ার হারিয়ে যাওয়া আর তাকে ফিরে পাওয়ার গল্প পুরোপুরি গোপন রাখা হয়। কারণ শত হলেও, পরিবারের সকলে ভেবেছে, এটা এমন কোনও সুখকর সংবাদ নয়, যে বলে বেড়াতে হবে। তাদের বাড়িতে মুসলমানদের হামলার কথা সবিস্তারে বর্ণনা করলেও মায়ার ওপর হামলাটি সম্পর্কে কোনও বাক্য উচ্চারণ কেউ করেনি। সংখ্যাগুরু হিন্দুর ভারত, ঠিকানা পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা, হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা প্রফুল্লনগর, আত্মীয়ের বাড়ি, নিরাপদ স্থান, ও বাড়িতে কাউকেই আর মুসলমানের ভয় করতে হয়নি। আত্মীয়দের আন্তরিকতার অভাব থাকলেও নিরাপত্তা আছে, এটুকুই সুরঞ্জন জানতো। তার বাবা-মা জানতেন। চার লাখ টাকা চুরি হয়ে যাওয়ার পর আকাশ ধসে পড়েছিল সুধাময়ের মাথায়। মাথা গোঁজার ওই ঠাঁইটুকুর কী ভীষণ প্রয়োজন তখন! ওই আশ্রয়কে অস্বীকার করার কারও উপায় ছিল না। উঠোনের বাড়তি ঘরটিতে যেখানে সবাইকে আশ্রয় দিয়েছিল, হঠাৎই একদিন সবাইকে নিজের তিন কামরার বাড়ির ভেতর পুরে দিল শংকর ঘোষ। হঠাৎ তাকে উদারতায় পেয়েছে, এমনই যে কেউ মনে করবে।
চলবে.......
১৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
জনপ্রিয় প্রথাবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৬২ সালের ২৫ আগষ্ট ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৭৮ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাস করেন। তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল অবদি চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেলে কর্মরত ছিলেন।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে লেখালেখি নয়তো চাকুরি ছাড়তে বললে তিনি লেখালেখি ছাড়েন নি। বরং সরকারি চিকিৎসকের চাকুরিটিই ছেড়ে দেন তিনি। তখন এই লেখিকাকে কেন্দ্র করে উগ্র মৌলবাদীদের আন্দোলনে উত্তাল ছিলো পুরো দেশ। বেশ কিছু মামলাও হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। শেষে এককথায় বাধ্য হয়েই দেশত্যাগ করেন নারীমুক্তির অন্যতম অগ্রপথিক তসলিমা নাসরিন। এরপর তিনি নির্বাসিত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন