উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111
১৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১৭)
বরযাত্রী বাসায় আসার সময় নূর অনেক কান্না করে।নিলয় এর কলিজাটা ছিড়ে আসে এই সময়টা।নূরকে চোখের পাতায় রেখে বড় করেছে নিলয়।এতো কষ্টের পর এই মেয়েকে পেয়েছিলো।কিন্তু আজ তাকে বিদায় দিতে হচ্ছে।
নিলয় এর চোখের পানি দেখে মেহরাব এগিয়ে যায় তার দিকে।
মেহরাবঃবাবাই। আমি আছি তো। আমিও চোখের পলকে রাখবো তোমার মেয়েকে।কখনো এটুকু ব্যাথাও দিবো না।তুমি নিশ্চিন্তে থাকো।ওয়ারদা মনিকে নিয়ে আবারো নিউ ম্যারিড লাইফ ইঞ্জয় করো।
কথাটা বলে চোখ টিপি দিলো।উপস্থিত সবাই হেসে দিলো। ওয়ারদা মেহরাব এর কান মলে দিলো।
ওয়ারদাঃদুষ্ট।এখন আর ছেলে নাই তুই।মেয়ে জামাই হয়ে গিয়েছিস।একদম শয়তানি করবি না।
মেহরাবঃমামনি মেয়ে জামাইকে কেউ এভাবে মারে?তোমার মেয়েকে কিন্তু অনেক মারবো বলে দিলাম।
নূরঃআরাফ বাবাই।কিছু বলো না তোমার ছেলেকে।
আরাফঃওর বাবার সাহস আছে নাকি বউ পেটানের যে ও পেটাবে।
মেহরাবঃহা হা হা।
নবনিঃআপনার জন্য আমার ছেলে মেয়ে গুলো এতো বদ হয়েছে।বদ লোক।
নূরঃআমার বাবাইকে কিছু বলবে না মামনি।তোমার ছেলেগুলোই বদ। আমার বাবাই অনেক ভালো স্বামী।তোমাকে কত ভালোবাসে।আর তোমার ছেলে বিয়ের পরই বলে বউ পেটাবে।আমি যাবোই না তোমার ছেলের সাথে।
মেহরাবঃকি বললে?যাবে না?
নূরঃনা।
মেহরাব নূরকে কোলে তুলে নিয়ে গাড়িতে বসে গেলো।
নূরঃকি করছেন?
মেহরাবঃশুনছিলাম তোমার আরাফ বাবাই ও আমার মাকে কোলে করে নিয়ে ঘুরতো বংশ প্রথা পালন করছি আর কি।তুমি তো আবার আরাফাত চৌধুরীর অনেক বড় ফ্যান।
নূরঃবেয়াদপ লোক।বাবার নাম ধরে ডাকে?
মেহরাবঃতোমার বাবা আমার বন্ধু।দেখো না উনাকে দেখে কেউ বলবে তার তিনটা যুবক যুবতি ছেলে মেয়ে আছে!!
আরাফ গাড়ি কাচ এ জানালার কাছে এসে বললো।
আরাফঃমেহরাব। আমাকে বাদ দিয়ে নিজের আর নূরকে নিয়ে ভাব।আমার ছেলে হয়ে এতো আনরোমান্টিক হলে হয়!??আরাফাত চৌধুরীর মানসম্মান কিছুই রাখবি না।
নূর লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।
নূরঃনবনি মামনি ঠিকই বলেছে।মেহরাব একদম আরাফ বাবাই এর মতো হয়েছে।(মনে মনে)
নূর মেহরাব এর থেকে এক হাত দূরে অপর প্রান্তের জানালার কাছে ঘেষে বসলো।
মেহরাব একটানে নূরকে বুকে নিয়ে আসলো।
মেহরাবঃযতদূরে যাবে তার থেকে দ্বিগুন কাছে নিয়ে আসবো।বুঝলে?
নূরঃনা।
মেহরাবঃবাসররাতে বোঝাবো।এখন ঘুমাও।সারারাত ঘুমাতে পারবে না আজকে।
গাড়ি চলতে শুরু করলো।নূর মেহরাব এর বুকে মাথা রেখে রাতে রাস্তা দেখতে লাগলো।
আদ্রিয়ান এর গাড়িতে তিথি আর আদ্রিতা উঠে।
আরাফ গাড়িতে উঠতে যেয়ে দেখলো পিছনে কাজীর কাধে হাত দিয়ে আরিয়ান বসে আছে।
আরাফঃহচ্ছেটা কি?এটাকে নিয়েছো কেন?আর আমার আর নবনির গাড়িতে কি?তোমার গাড়ি নাই?
কাজিঃস্যার। ইনি আমাকে সেই কবের থেকে ধরে রেখেছেন।আমাকে বাচান ইনার হাত থেকে।
আরাফঃ😒
আরিয়ানঃনবনি আম্মু তো আসছে।শশুড় আব্বু।আপনি উনাকে নিয়ে সামনে বসেন।আর আমি এই গাড়িতে গেলে কি আর আপনার অনেক প্রাইভেসি নষ্ট হয়ে যাবে।এই যে কাজী নিয়ে আসছি।আমাকে আজকে মেয়ে দিয়ে দিন। মেহরাব ও নূরকে নিয়ে ব্যস্ত।আদ্রিয়ান আর্মী ট্রেইনিং এ চলে যাবে।তারপর আপনি আর নবনি আম্মু আরামসে আমাকে শালী দেয়ার ব্যবস্থা করুন।যত্তসব শালা দিয়ে ভরে রেখেছেন।একটা শালীরও তো প্রয়োজন আছে নাকি?আমি আপনাকে ফুল প্রাইভেসি দিবো। কিন্তু আজকে না।
আরাফঃতুমি কি নবনিকে হাতের মোয়া ভাবছো?আমি নিজে ওরে অনেক এক্সিডেন্ট করে মার খেয়ে তারপর পেয়েছি।আর তুমি ভাবছো এক রাতে গাড়িতে বসে ওর মন জয় করে নিবে।এটা আরাফার চৌধুরীর ইনসাল্ট না?
আরিয়ানঃআরে না।এটা আপনার ট্রেইনিং কি করে শাশুড়ী পটাতে হয়।চুপচাপ দেখবেন শুধু।আর পারলে আমাকে সাহায্যে ও করবেন।হানিমুন এর টিকিট আমার তরফ থেকে গিফট।
আরাফঃআরাফাত চৌধুরীকে ঘুষ দেয়া হচ্ছে।
আরিয়ানঃআরে না যৌতুক। আমি ইতিহাসে প্রথম বর যে শশুড়কে যৌতুক দিবে।
আরাফঃসব ইতিহাস আমার আর আমার ছেলের সাথেই রচিত হয়।
নবনিঃকি হচ্ছে?কি নিয়ে কথা বলছেন?
আরাফঃগাড়িতে উঠো।
নবনি গাড়িতে উঠে পড়লো।
নবনিঃপিছনে উনারা কারা।উনাদেরকে নামিয়ে দিয়ে বাসায় যাবো নাকি?
আরাফ গাড়ি স্টার্ট দিলো।
আরিয়ান দাড়ি মোচ সব খুলে ফেললো।
নবনি গাড়ির গ্লাসে সব দেখলো।
নবনিঃআরিয়ান!!!তুমি??
আরিয়ানঃহ্যা।নবনি আম্মু।
নবনিঃকে আম্মু?কার আম্মু?
আরাফঃতোমার হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে কুড়িয়ে পেয়েছি।
নবনিঃকি সব বলছেন?
মেহরাবঃতোমাকে না বললাম চুপ থাকবে?
আরাফঃআজব তো!!আরিয়ান তুই কি নবনির দলে চলে গেলি নাকি?দেখ নবনির দলে মেহরাব আসে। তুই আমার দলে যোগ দিবি।
আরিয়ানঃকি যে বলো।আমি তো জন্ম থেকেই নবনি আম্মুর দলে।তোমার দলে আদ্রিয়ান আদ্রিতা আগের থেকেই আছে।এখন আবার নূর ভাবী জয়েন করেছে।তুমি মিয়ে বেশি লোভ করো।
আরাফঃআরিয়ান এর বাচ্চা।এইবার নবনি মেনে গেলেও আমি আদ্রিতাকে দিচ্ছি না।এমন পল্টিবাজ ছেলের কাছে আমি মেয়ে দিবো না।
আরিয়ানঃবাচ্চাটা তো হতে দাও।এমন করো না।আব্বু।আর ভুলো না। শালীর আসার ও একটা ব্যাপার স্যাপার আসে।
নবনিঃএই চুউউউউউপ।কি হচ্ছে এখানে?
আরিয়ানঃআমার না তোমার মেয়েকে খুব পচ্ছন্দ হয়েছে।আমি ভালোবেসে ফেলেছি আদ্রিতাকে। প্লিজ ওকে আমার কাছে দাও।
নবনিঃযেমন করে চাইছো যেন মেয়ে না পুতুল।
আরিয়ানঃপুতুলইতো তোমার মেয়ে।কতো সুন্দর। একদম তোমার মতো।তুমি এখনো এতো সুন্দর।যুবতি সময়তো আদ্রিতার থেকেও বেশি সুন্দর ছিলে মনে হচ্ছে।
আরাফঃআমার বউ এর উপর ফ্লার্ট করবি না।এখনি গাড়ি থেকে বাইরে ছুড়ে ফেলবো।
নবনিঃআরিয়ানকে আমার পচ্ছন্দ হয়েছে।
আরাফঃকিহহহহ!!
নবনিঃহ্যা।আরিয়ান তো আপনার মতোই তার ছিড়া।আপনার মেয়েকে সোজা করার জন্য এই ছেলেই ঠিক আছে।
আরাফঃএটা ঠিক না নবনি পাখি।তুমি এতো সহযে মেনে যেতে পারো না।
নবনিঃএতো জেলাস কি করে হোন?
আরিয়ানঃহা হা হা।
আরাফ মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো।
বাসা এসে পড়তেই আরাফ গাড়ি থেকে নেমে হনহন করে ভিতরে চলে গেলো।সাথে কাজীকে নিয়ে গেলো।আরিয়ান ভিতরে যাবে তখনই নবনি আরিয়ানকে ডাক দেয়।
নবনিঃআরিয়ান।দাঁড়াও।
আরিয়ানঃহ্যা।আম্মু বলো।
নবনিঃআমি এই বিয়েতে তোমার কথা গুলো শুনে রাজী হই নাই।
আরিয়ানঃতাহলে?
নবনিঃআরাফ এর জন্য রাজী হয়েছি।আরাফ আমাকে আর বাচ্চাদেরকে নিয়ে অনেক ইনসিকিউর।কিন্তু সে তোমাকে আদ্রিতার আশেপাশে আসার অনুমতি দিয়েছে তার মানে সে তোমাকে বিশ্বাস করেছে।আমি আরাফ এর বিশ্বাস এর উপর আস্থা রেখে তোমাকে মেনে নিয়েছি।এই বিশ্বাস কখনো ভেঙে না।
কখনো যদি আরাফ এর বিশ্বাস তুমি ভেঙেছো আরাফ আর আদ্রিতা তোমাকে কি শাস্তি দিবে তা আমার জানা নেই।কিন্তু তার আগে আমি তোমাকে শাস্তি পাওয়ার মতো অবস্থায় রাখবো না।
চলো এখন ভিতরে যাই।
আরিয়ান ঘামতে শুরু করে দিলো।
আরিয়ানঃএই পরিবারে সবাই এতো ডেঞ্জারাস কেন!নবনি আম্মু কি সুন্দর শীতল কন্ঠে মারাত্মক ধমকি দিয়ে গেল।
আল্লাহ না করে আমার দ্বারা কোনো ভুল হয়।নাহলে এরা সবাই আমাকে ডিরেক্ট উপরে পাঠিয়ে দিবে।
আরিয়ান ভিতরে চলে গেল।ভেতরে সবার চেহারার অবস্থা গম্ভীর।মেহরাব রেগে লাল হয়ে আছে।আরাফ এর মুখের হাসিটুকুও বিলীন।আদ্রিতার চেহারা কাদো কাদো।
মেহরাবঃকি রে? আমি এগুলো কি শুনছি।তুই নাকি আদ্রিতাকে ভালোবাসিস?
মেহরাব এর রাগ দেখে আরিয়ান এর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
আরিয়ানঃযা ভাবছিলাম তাই হলো।মেহরাব আমাকে ভুল বুঝলো।(মনে মনে)
আরিয়ানঃআমি আসলে!!আমি!
মেহরাবঃআমি আমি কি?হা?বন্ধু হয়ে আমার বোন এর উপর নজর দিলি।কি মনে করেছিস?তুই চাইলেই বোন দিয়ে দিবো?
আরিয়ানঃআরে দোস্ত না।আমি এমন কিছুই ভাবি নাই।আমি তো আরো ভাবছিলাম যে তোর সাথে কি করে চোখ মেলাবো।আমি জেনে বুঝে কিছু করি নাই দোস্ত।
মেহরাবঃখবরদার।আর দোস্ত বলবি না আমাকে।আজকে থেকে তোর আর আমার বন্ধুত্ব এখানেই শেষ।
এখন থেকে ভাইয়া বলবি আমাকে।
আর তুই কি করে ভাবলি যে তুই চাইলে আমি বোন দিবো না?
আরিয়ান হা হয়ে গেলো।সবাই উচ্চস্বরে হেসে দিলো।আরিয়ান এর চোখে পানি চিকচিক করছে।
মেহরাবঃকি হলো দোস্ত।এটা তো ছোট্ট একটা প্রাংক ছিলো।আমার থেকে তোর ভালোবাসার মানুষ এর কথাটা লুকানোর জন্য তোকে একটু শাস্তি দিলাম আর কি।তুই কাদছিস কেন?
আরিয়ান মেহরাবকে জড়িয়ে ধরলো।
আরিয়ানঃখবরদার। আর কখনো এমন মজা করবি না।যখন তুই বললি তোর আর আমার বন্ধুত্ব শেষ তখন আমার কলিজা ছিড়ে আসছিলো।
তুই শুধু আমার বন্ধু না।আপন ভাইয়ের থেকেও বেশি।আমি তোকে হারাতে পারবো না।কখনোই না।
মেহরাব মুচকি হাসলো।
মেহরাবঃতুই ও তো আমার কাছে আদ্রিতা আদ্রিয়ান এর মতো।তুই যদি আদ্রিতাকে ভালোবাসিস তাতে আমি কেন আপত্তি করবো?
আরিয়ানঃতবুও।যদি ভুল বুঝতি।
মেহরাবঃপাগল বন্ধু আমার।তুই যদি আমাকে এই কথা আগে বলতি তাহলে আমি এই দিন আসতেই দিতাম না।আরো আগেই সবাইকে তোর আর আমার প্লান এর কথা বলে দিতাম।আমার জন্য নিজের ভালোবাসা ত্যাগ করতে যাচ্ছিলি!!এতো গাধা তুই?
আরিয়ানঃতোর মাথা।সম্মান দিয়ে কথা বল।তোর ১ মিনিটের ছোট বোন এর হবু বর আমি।
মেহরাবঃহ্যা।দিচ্ছি তোকে সম্মান।চল। রেডি করে সম্মান দিয়ে নিয়ে আসি।
মেহরাব আদ্রিয়ান আরিয়ানকে টেনে নিয়ে চলে গেলো।
আরাফঃনূর মা।সরি।প্রথম দিনই তোমাকে কাজে লাগিয়ে দিলাম।কিন্তু এখন তুমি এই বাড়ির বড় বউ।তোমার ননদিকে রেডি করে নিয়ে এসো।তিথি ওদের সাথে যাও।
নূরঃকি যে বলো না বাবাই।আদ্রিতা আপুনিতো ননদ এর আগে আমার বোন ও। এখনই উনাকে রাজকুমারীর মতো সাজিয়ে নিয়ে আসছি।
আরাফ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।
নবনিঃকি ভাবছেন?আরাফ?
আরাফঃওরা এতো বড় কবে হয়ে গেলো নবনি পাখি?
নবনিঃসময় খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলো।আমরা টের ও পায় নাই।
আরাফঃআদ্রিতাকে কি করে বিদায় দিবো নবনি পাখি?ও যে আমার কলিজার টুকরা।ও কি করে থাকবে আমাকে ছাড়া?আমার গান না শুনলে তো ওর রাতে ঘুম ও আসে না।
নবনি আরাফ এর বুকে মাথা রাখলো।
নবনিঃআমিও তো সব কিছু ছেড়ে আপনার কাছে এসেছিলাম আরাফ।নূরও এসেছে।আদ্রিতাও পারবে।সব মেয়েদের মধ্যে আল্লাহ এই ধৈয্যটুকু দিয়ে দেন।আর আরিয়ান আছে তো।ও ঠিক আপনার রাগী জেদি মেয়েটাকে সামলে নিবে।
আরাফঃI hope so.
সব বাধা পেরিয়ে আদ্রিতা আরিয়ান এর বিয়ে সর্ম্পূন হলো।বিয়ে হওয়ার পর থেকে আদ্রিয়ান মেহরাব আদ্রিতার পাশেই বসে আছে।
আরাফঃওকে এভাবে আটকে রেখেছিস কেন?ও এখন যাচ্ছে না।কালকে সকালে যাবে।এখন যে যার রুমে ঘুমাতে যাও।সারাদিন অনেক ধকল গিয়েছে।
আরাফ নবনি ঘুমাতে চলে গেলো।
মেহরাব রুমে ঢুকতে যাবে তখনই আরিয়ান আদ্রিয়ান গেট ধরলো।
মেহরাবঃকি রে!গেট এর সামনে কি করিস?সর সামনের থেকে।
আরিয়ানঃগেট এর সামনে কি করি বুঝো না?বাচ্চা তুমি??টাকা দাও। গেট ধরসি।
মেহরাবঃএই তুই কোন জাতের ফ্রেন্ড?অন্যদের ফ্রেন্ডরা বন্ধুর পাশে থাকে গেট ধরার সময় আর তুই উলটা টাকা চাচ্ছিস।
আদ্রিয়ানঃএতো কিছু বুঝি না।আমার নিউ মডেল বাইক লাগবে।না দিলে সরবো না।
মেহরাবঃতোরে না আব্বু গত মাসে বাইক কিনে দিলো? আবার কিসের বাইক?
আদ্রিয়ানঃওইটা স্পিড কম।আমার স্পিড বেশিরটা লাগবে।
মেহরাবঃযা এখান তে।এক্সিডেন্ট করার ধান্দা।
আদ্রিয়ানঃকোথাও যাবো না।অবরধ হরতাল আন্দোলন। আমি কোথাও Not going..
আরিয়ানঃআমি ও আমার বউ এর অধিকার ছাড়বো না।আমার বউ বউ সেজেছে বলে তার টাকা মাফ তা হবে না।আদ্রিতার বর তার টাকা নিবে। টাকা ছাড়া তুই ভিতরে যেতে পারবি না।
মেহরাব ওয়ালে মাথা ঢুকে মানিব্যাগটা আদ্রিয়ান এর হাতে দিয়ে দিলো।
মেহরাবঃনে। সব নিয়ে নে।তাও আমাকে ভিতরে যেতে দে।আর একটু পর সকাল হয়ে যাবে।আমার বাসর রাত শেষ।
আরিয়ানঃকি যে বলিস।তুই আর আমি না হয় বাসর সকাল করবো?কি বলিস?
মেহরাবঃতোর বউ আমার বোন হয়।নিলর্জ্জ বেডা।সর সামনের থেকে।
মেহরাব আরিয়ান আদ্রিয়ানকে ঢেলে ভিতরে ঢুকে দেখে পুরো রুমে নূর নাই।
মেহরাবঃওই তোরা আমার বউ কি করছিস?
আদ্রিয়ানঃআমি কিছু করি না। যা করার আরিয়ান ভাইয়া করসে।
আরিয়ানঃএই কি যা তা বলছিস!!আমি জানি না।
মেহরাবঃআমার বউ!!কই তুমি নূর পাখি??
আরিয়ানঃদোস্ত কান্না কাটি করিস না তো। এখানেই আশেপাশেই হবে।চল খুজি।
মেহরাব আদ্রিয়ান আরিয়ান সারা বাড়ি খুজে নূরকে পায় না।
আরিয়ানঃদোস্ত তুই যেয়ে ঘুমাতো।বাসর রাত অন্য দিন করিস।এখন তোর জন্য আমার বাসার সকাল ও হবে না।আমাকে মাফ কর তোরা।
মেহরাবঃতোরে তো আমি যেতেই দিবো না।
কথা বলতে আদ্রিতার রুমের সামনে এসে পৌছায়। সেখানে নূর তিথি গেট ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
আরিয়ানঃমেহরাব তোর বউ!!
মেহরাব ঘুরে দেখে নূর এখানে।
মেহরাবঃতুমি এখানে কি করো?
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
১৮ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন