উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111
৩০ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৩১)
৩ বছর পর~
এয়ারপোর্টের বাইরে একটা গাড়ি এসে থামলো।গাড়ি থেকে বের হয়ে আসলো একজন শুভ্র সাদা পাঞ্জাবি পড়া যুবক।যুবকটার কোলে ২ বছরের বাচ্চা।বাচ্চাটা যুবকের কোল থেকে নামার জন্য দুষ্টমি করছে।
_করছো কি?আশমিন?এতো দুষ্ট হয়েছো তুমি?আমার ড্রেস আপটাই নষ্ট করে দিলে।ধ্যাত।বাবুটা খিলখিল করে এসে দিলো।
_খুব মজা পাও না মামাকে জ্বালিয়ে?রাগ করেছি যাও।
বাবুটা লোকটার মুখে হাত বুলিয়ে দিলো।যুবকটা বাবুটার হাতে চুমু খেলো।
দূর থেকে একটা মেয়ে এই সুন্দর দৃশ্যটা উপভোগ করলো।মাত্রই বাংলাদেশের জমিনে পা রেখেছিলো মেয়েটা।নেমেই এমন দৃশ্য দেখে চোখে পানি চলে আসলো।
_কাদছিস কেন?নেহা?
_আমার বাচ্চাটা বেচে থাকলে এতটুকই হতো তাই নাই মিরা?
নেহার প্রশ্ন শুনে কষ্ট পেলো মিরা।মিরা নেহা দুই বান্ধুবি।নেহাকে ৩ বছর আগে রাস্তায় পড়া পায় মিরার বাবা।নেহা সম্ভবত কার এক্সিডেন্ট করেছিলো।এক্সিডেন্ট এ নেহার গর্ভে থাকা বাচ্চা আর স্মৃতি দুটোই হারিয়ে যায়।সে থেকে মিরার বাবাই দেখাশোনা করে নিজের কাছে রেখে দেয় নেহাকে।বাচ্চা হারানোর পর নেহা ট্রোমাতে চলে যায়।কোনো চিকিৎসাই নেহার শরীরে রেসপন্স করছিলো না।শুধুই মেহের নামটা উচ্চারণ করতো নেহা।নেহার এমন অবনতি দেখে মিরার বাবা তাকে নিজের সাথে করে কানাডা নিয়ে চলে যায়।আজ ৩ বছর পর নেহা দেশে ফিরেছে।
মিরাঃযা হয়েছে বাদ দে তো।তোকে কত বার বলেছি ৩ বছর আগের স্মৃতি গুলো মনে করতে যাস না।তুই জানিস ওইসব মনে করতে গেলে তোর মাথা ব্যাথা উঠে।
নেহাঃমিরা।এক্সিডেন্ট এর আগে আমার গর্ভে বাচ্চা ছিলো তার মানে আমি কারো স্ত্রী ছিলাম।কে ছিলো সে লোক?উনি কি আমাকে খুজে নাই?আমার এক্সিডেন্ট কি করে হলো?আমার বাচ্চার বাবা কে?
এত প্রশ্ন আমি কি করে ভুলে নাই?কি করে ভুলে যাবো আমার অস্তিত্ব কার সাথে জুড়ে ছিলো?মেহের নামটা কার?কেন আমার সব স্মৃতি যাওয়ার পরও এই নামটা আমার সাথে জুড়ে আছে?
নেহার মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেলো।চোখের সামনে সব ঝাপসা ঝাপসা ভাসছে।মিরা নেহাকে গাড়িতে উঠালো।
মিরাঃকত বার বলছি এসব ভাববি না।যা চলে গিয়েছে বাদ দে।৩ টা বছর ধরে তুই এই একজায়গায় আটকে আছিস।তোর স্বামী দেখ যেয়ে আর একটা বিয়ে করে সেটেল্ড হয়ে গিয়েছে।আর সেই বা কেমন মানুষ হতে পারে তোকে একা ছেড়ে দিলো?
নেহাঃএভাবে কারো সম্পর্কে না জেনে অপবাদ দিস বা তো। বাদ দে।গাড়ি বাসার দিকে নে।
মিরাঃআচ্ছা।
মিরার নানুর অবস্থা খারাপ দেখে তাকে দেখতে দেশে আসে মিরা আর নেহা।
আদ্রিয়ান মেহরাবকে জড়িয়ে ধরলো।
আদ্রিয়ানঃআই এম ব্যাক।ভাই।
মেহরাব মুচকি হাসলো।
মেহরাবঃওয়েল কাম ব্যাক।এতো দেরি করলি কেন?
আদ্রিয়ানঃআরে আমি না।এয়ারপোর্টে চেকিং করতে দেরি করেছে।
মেহরাবঃআমি এই দেরির কথা বলছি না।তোর না ২ বছর পর আসার কথা ৩ বছর কেন লাগলো?আর কোনো যোগাযোগ কেন রাখলি না?
আদ্রিয়ানঃসব বলবো আগে আমাকে বলো তোমার কোলে কি নূর ভাবী আর তোমার বাচ্চা?
আদ্রিয়ান কোল থেকে আশমিনকে নিয়ে নিলো।
আদ্রিয়ানঃচাচ্চু বলো বাবুই।
মেহরাবঃচাচ্চু না মামা।এটা আমার না আদ্রিতা আরিয়ান এর ছেলে।
আদ্রিয়ানঃওহ।নূর ভাবী কোথায়?
মেহরাবঃবাসায় চল।
মেহরাব এর চেহারা কঠিন হয়ে গেলো। হাসিমুখটা নিমিষেই গায়েব হয়ে গেলো।
আদ্রিয়ান এর কাছে ব্যাপারটা কেমন জানি লাগলো।মেহরাব গাড়ি চালাচ্ছে।আর আদ্রিয়ান বকবক করছে।
আদ্রিয়ানঃভাই।আব্বু কত খুশি হবে জানো।আমি ক্যাপ্টেন আদ্রিয়ান হয়ে ফিরেছি।এই দেখো আমার গোল্ড মেডেল আমি যেয়েই এটা আব্বুকে পড়াবো।আর আব্বু তো নানু হয়৩ গিয়েছে।ইশশশ বুড়ো হয়ে গেলো না?
নূর ভাবী কি করছে? কেন আসলো না?উনি কি দেখবে না উনার বাচ্চা দেবর কতো বড় হয়ে গেলো?
তিথি কি ডিজাইনার হতে পেরেছে?জানো আমি তো ভেবেছিলাম বেচে ফিরতে পারবো না।কিন্তু আব্বু আমাকে বলছিলো আরাফাত চৌধুরী কখনোই হারে নাই।আমি ওদের সবাইকে মেরে ফেলেছিলাম জানো।আম্মুকে সব শোনাবো।
মেহরাব চুপ করে গাড়ি চালাচ্ছে।মেহরাব কথাগুলো শুনে খুশি কি দুঃখি কিছুই বোঝার উপায় নেই।
গাড়ি এসে চৌধুরী ভিলায় থামতে আদ্রিয়ান আশমিনকে নিয়ে নামে।মেহরাব স্পিডে গাড়ি টান দিয়ে চলে যায়।আদ্রিয়ান হা হয়ে যায়।যে মেহরাব ঠেলাগাড়ির মতো গাড়ি চালাতো আজ সে বাইক থেকেও বেশি স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে।
আদ্রিয়ান আশমিনকে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে।আদ্রিতা দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলো আদ্রিয়ানের অপেক্ষায়।
আরিয়ানঃওয়েলকাম ব্যাক।আদ্রি।
আদ্রিয়ান আশমিনকে আরিয়ানের কোলে দিয়ে দিলো।
আদ্রিয়ানঃআম্মু আব্বু কোথায়?তিথি কোথায়?
আদ্রিতাঃতিথি নামায পড়ছে।দেখা করে ফ্রেশ হয়ে নে।
আদ্রিয়ানঃআগে আম্মু আব্বুর সাথে দেখা করবো।
আদ্রিয়ান আরাফ নবনির রুমে দিকে দৌড় দেয়।আদ্রিতা পিছন থেকে ডাকে কিন্তু কোনো লাভ হয় না।
আদ্রিয়ান আরাফ নবনির রুমটাতে তাদেরকে পায় না।তারপর নূর এর রুমে যায়।নূর এর রুমে তালা ঝুলানো।আদ্রিয়ান ফিরে আসে।
আদ্রিতাঃআগে ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে নে।তারপর কথা হবে।
আদ্রিয়ানঃকি কথা হবে?কোথায় আম্মু আব্বু নূর ভাবী?আমার আগে মেডেল দেখাতে হবে।তারপর বাকি কিছু।
তিথিঃএখনও জেদ কমে নাই আপনার? ক্যাপ্টেন আদ্রিয়ান?
আদ্রিয়ান পিছনে ঘুরে তিথিকে দেখে শক খায়।তিথি আগের থেকে খুব সুন্দর হয়ে গিয়েছে।আগের কিশোরী তিথিকে এখন যুবতি মনে হচ্ছে।
আদ্রিয়ানঃতুই এতো সুন্দর কি করে হলি রে?
তিথিঃআমি কি দেখতে খারাপ ছিলাম নাকি?
আদ্রিয়ানঃনা।মানে!
তিথিঃআপনিও তো বড় হয়ে গিয়েছেন।কিন্তু ব্যবহার এখনো বাচ্চাদের মতো।স্ত্রীকে কেউ তুই করে সম্বোধন করে?
আদ্রিয়ান মাথা চুলকালো।
আদ্রিয়ানঃঅভ্যাসের দাশ আমি।সমস্যা এখন এসে পড়েছি তো সব ঠিক হয়ে যাবে আস্তে আস্তে।
এখনো বলবে বাকিরা কোথায়?
আদ্রিতাঃআগে ফ্রেশ হয়ে আয়।তারপর সব বলছি।
আদ্রিয়ানঃআচ্ছা।আসছি আমি।
তিথি আদ্রিয়ান এর রুমে আসায় কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছে।আদ্রিয়ান ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মজা নিচ্ছে।
আদ্রিয়ান ঠাস করে যেয়ে তিথির কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে।
তিথিঃহচ্ছেটা কি?
তিথি সরে আসতে নিলে আদ্রিয়ান হাত চেপে ধরে।
আদ্রিয়ানঃআপনি কি ভুলে গিয়েছে আপনি আমারই বিয়ে করে রেখে যাওয়া বউ মিস তিথি আদ্রিয়ান?
তিথিঃনা। কিন্তু আমার কাছে কেমন জানি লাগছে?
আদ্রিয়ানঃকেমন লাগছে?যখন ৪ বছর পর বিদেশ থেকে এসেছিলাম তখনতো এমন লাগে নাই।তাহলে?
তিথিঃতখনতো প্রতিদিন ভিডিও কলে কথা হতো।কিন্তু এই ৩ বছরে একবার ও আপনার কল আসে নাই।২ বছর বলে গিয়েছিলেন।আসলেন ৩ বছর পর।
তিথি চোখে পানি চিক চিক করছে।
আদ্রিয়ানঃমিশন শেষ হতে হতে ৩ বছর লেগে গেলো।আচ্ছা বলো তো এখানে কি কি হয়েছে আমার অনুপস্থিতিতে?
তিথিঃআম্মু আব্বু চলে গিয়েছেন।
আদ্রিয়ানঃকোথায় গিয়েছেন?
তিথিঃআল্লাহর কাছে।
আদ্রিয়ান লাফ মেরে উঠে দাড়ালো।
আদ্রিয়ানঃএসব কি মজা?
তিথি আদ্রিয়ানকে শুরু থেকে সব বললো।আদ্রিয়ান শুনে থ হয়ে গেলো।
আদ্রিয়ানঃআমি শেষবার এর মতো দেখতেও পারলাম না।এতোই অভাগা আমি?
তিথিঃআপনার থেকে বেশি হতভাগা মেহরাব ভাইয়া।প্রথমে বাবাই তারপর নবনি মামনি আর তারপর নূর ভাবি। সবাইকে হারাতে হলো উনার।
জীবিত লাশের মতো বেচে আছেন উনি।
আদ্রিয়ান এর মাথায় বাজ ভেঙে পড়লো।
আদ্রিয়ানঃভাবী?
তিথিঃযা কিছু হয়েছিলো সব কিছুর জন্য নূর ভাবি নিজেকে দায়ি করতো কারন পরি আর নিলয় উনার মা বাবা ছিলেন।
উনি এতোটা মানুষিক অশান্তিতে ছিলেন যে কাউকে সহ্য করতে পারতেন না আশেপাশে। মেহরাভ ভাইয়া ছাড়া কিছুই বুঝতেন না।এদিকে মেহরাব ভাইয়া বিজনেস রাজনীতি সব কিছু এক হাতে সামলে নূর ভাবিকে সময় দিতে পারতেন না।
আমরা সবাই নিজেদের কষ্টে এতোটাই ভেঙে পড়েছিলাম তার দিকটা দেখার সময় পাই নাই।একদিন মেহরাব ভাইয়া রাতে বাসায় এসে বললেন নূর ভাবি বাসায় নাই।আমরা পাগলের মতো খুজেও উনাকে আর পাই নাই।উনি কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন।
মেহরাব ভাইয়াকে ৬ মাস শিকল দিয়ে বেধে রাখতে হয়েছে।নূর ভাবীকে হারিয়ে ভাইয়া শুধুই আত্মহত্যা করতে চাইতো।সুযোগ পেলেই নিজের ক্ষতি করে বসতো। তারপর আদ্রিতা আপুর বাবু আশমিন দুনিয়াতে আসে।আশমিনকে দেখে ভাইয়া আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়।কিন্তু উপরে উপরে হাসেন।ভিতর থেকে।তিনি সেই ক্ষত বিক্ষত হয়ে আছে।
কত খুজলাম উনাকে। দেশের সব কোনায় কোনায় উনাকে খুজেছি।কিন্তু পাই নাই তাকে।
আদ্রিয়ানঃএতোকিছু হয়ে গেলো।মেহরাব ভাইয়া কি করে এতো কিছু নিলেন।তোমার কাছেতো তবুও আমজ ছিলাম।আদ্রিতা আপুন কাছে আরিয়ান ভাইয়া।কিন্তু মেহরাব ভাইয়া।আমার ভাই এতো কিছু কি করে নিলো?
তিথিঃঅনেক বদলে গিয়েছেন উনি।পরিস্থিতি তাকে বদলে দিয়েছে।
আদ্রিয়ানঃনা জানি ভাবি কোথায় আছে?কেমন আছে।
নেহা মিরার নানুর সাথে দেখা করে চলে আসে সেখান থেকে।
মিরাঃকোথায় যাচ্ছিস?
নেহাঃবাসা নিতে।
মিরাঃকেন?এখানে থাকবি আমাদের সাথে।
নেহাঃআর না রে।৩টা বছর অনেক জ্বালিয়েছি তোদের।এইবার আমাকে আমার রাস্তা নিজে করে নিতে দে।
মিরাঃমার খাবি।আমি কি তোর কেউ না?
নেহাঃএমন করিস না দোস্ত।প্লিজ।এইবার আমাকে একটু একা থাকতে দে।আংকেল ফিরে আসা পর্যন্ত অন্তত আমাকে একা থাকতে দে।
মিরাঃআচ্ছা। ঠিক আছে।তাহলে আমিও তোর সাথেই থাকবো।ঘড় ভাড়া নিয়ে।ওকে?
নেহাঃতুই কি আর না বললে শুনবি?
মিরাঃচল তাহলে।
আদ্রিতাঃআব্বু যদি আমাদের শক্তি গুলো না নিতেন তাহলে আমরা নূরকে খুজে ফেলতাম তাই না?ডাক্তার সাহেব?
আরিয়ানঃএই শক্তির জন্যইতো এতগুলো জীবন এলোমেলো হলো।
ফ্ল্যাশব্যাকঃ
মেহরাবঃতোমরা কেউই সেই অভিশপ্ত রাজপ্রাসাদে ফিরবে না আমি জানি।আমিই হয়তো এজন্যই বেচে ছিলাম।আমার সিংহাসন ঘুড়ে ফিরে আমার কাছেই আসলো।মাঝখান থেকে এতো গুলো জীবন চলে গেলো।
নূর মেহরাব আদ্রিতা তোমাদের শক্তি গুলো দাও।আর তোমরা সাধারন জীবন যাপন করো।আমি ফিরে যাবো জ্বীন রাজ্যে।
বলার সাথে সাথেই নূর মেহরাব আদ্রিতা সব শক্তি মেহরাবকে দিয়ে দেয়।যে শক্তি এতো গুলো মানুষক্র ধ্বংস করলো তা তাদের প্রয়োজন নেই।
মেহরাবঃপ্রয়োজন হলে আমাকে ডেকো।আর আরিয়ান তুমি কি আমার ছেলের জীবন চাও নাকি সাধারণ মানুষের?
আরিয়ানঃআমি সাধারণ মানুষ হয়েই আদ্রিতার সাথে বাচতে চাই।নিজের খেয়াল রেখেন আব্বু।
মেহরাব চলে যায়।
বর্তমান~
আরিয়ানঃঅতীতকে আর ঘেটো না আদ্রিতা।বর্তমানকে কি করে সুন্দর করা যায় তা নিয়ে ভাবো।
আদ্রিতাঃহুম।আশমিন এর জন্য খাবার নিয়ে আসি।
আরিয়ানঃআচ্ছা।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৩২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন