উপন্যাস       :         কপোত কপোতীদের গল্প
লেখিকা        :         আনআমতা হাসান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল     :         ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা আনআমতা হাসানের “কপোত কপোতীদের গল্প” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান Bangla Golpo - Kobiyal - Romantic Golpo
কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান

৬৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

কপোত কপোতীদের গল্প || আনআমতা হাসান (পর্ব - ৭০)

রেস্টুরেন্টে ঢুকে আশেপাশে তাকিয়ে রিশানকে খুঁজছে তোয়া আর অভি। রেস্টুরেন্টেের লাষ্টের কর্ণারের টেবিলে বসে থামা রিশান তা দেখতে পেয়ে হাত উঁচিয়ে ডাকল
- তোয়া।
রিশানকে দেখতে পেয়ে রিশানের আসেপাশে চোখ ঘুরিয়ে নিশাকে খুঁজতে খুঁজতে, রিশানের টেবিলের দিকে আগায় তোয়া। অভিও তোয়ার পিছু পিছু যায়। তোয়া রিশানের কাছে গিয়ে মিষ্টি হেসে বললো
- আসসালামু আলাইকুম স্যার।
রিশান স্বাভাবিক কন্ঠেই উত্তর দেয়
- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
তোয়ার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অভি রিশানকে বললো
- আসসালামু আলাইকুম স্যার।
রিশান এবারও আগের মতো স্বাভাবিক কন্ঠেই বললো
- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
অভি অপরাধীর কন্ঠে বললো
- সেদিনের জন্য সরি স্যার। আসলে, আমি তোয়াকে খুব ভালোবাসি আর সেদিন তোয়াকে আপনার সাথে দেখে আমি ভুল বুঝেছিলাম।
রিশান হালকা হেসে বললো
- ইট'স ওকে। বস তোমরা।

তোয়া আর অভি দুজনেই চেয়ার টেনে বসে পড়ে। রিশান জিজ্ঞেস করল
- বল কি খাবে?
অভি অনুরোধের কন্ঠে বললো
- স্যার আজকে আমি খাওয়াবো, প্লিজ স্যার। না করবেন না।
কাধের ব্যাগটা কোলে নিয়ে বসে, তোয়াও অভির পক্ষ নিয়ে বললো
- হ্যাঁ স্যার। গতবার বিলটা তো আপনি দিয়েছিলেন। এবারেরটা আমরা দেই। প্লিজ স্যার।
রিশান অভি আর তোয়ার অনুরোধে আর না করতে পারলো না। হাসি মুখে বললো
- আচ্ছা ঠিক আছে। কিন্তু পরের বারের বিলটা কিন্তু আমার নামে হবে।
অভি হাসি মুখে বললো
- আচ্ছা ঠিক আছে। এখন বল কে কি খাবে?


রিশান তোয়া আর অভিকে বললো
- তোমরা যা খাবে, আমিও তাই নিবো।
তোয়া মেনু কার্ড দেখে বললো
- এখন তো লাঞ্চ টাইম হয়ে গিয়েছে। ফ্রাইড রাইসই ওর্ডার কর।
অভি ওয়েটার ডেকে খাবার ওর্ডার করে। তোয়া রিশানকে বললো
- স্যার নিশাকে নিয়ে আসলেন না।
রিশান মলিন কন্ঠে বললো
- নিশা অসুস্থ।
তোয়া অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করল
- কি হয়েছে নিশার?
তোয়াকে অস্থির হতে দেখে রিশান তাড়াতাড়ি উত্তর দিল
- না, সেই অসুস্থ না।
তোয়া কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করল
- তাহলে?
রিশান শান্ত কিন্তু অপরাধীর কন্ঠে উত্তর দিল
- নিশা প্রেগন্যান্ট।
তোয়া চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল 
- সত্যি!
রিশান আগের মতোই শান্ত কন্ঠে উত্তর দিল
- হ্যাঁ।
তোয়া খুশি হয়ে বললো
- এতো খুশির খবর। স্যার আপনি তো আমাকে ভয়ই পাইয়ে দিয়েছিলেন। আমি তো ভেবেছিলাম ওর হয়তো অনেক বড় কোন অসুখ হয়েছে।
রিশান ইতস্তত করে বললো
- আসলে তোয়া ,,,,
কতোটুকু বলে থেমে যায় রিশান। রিশানকে ইতস্তত করতে দেখে অভি ভাবে হয়তো রিশান তার সামনে কিছু বলতে চাচ্ছে না, তাই সে রিশানকে বললো 
- স্যার প্রাইভেট কথা হলে, আমি একটু আশপাশে থেকে ঘুরে আসি। সমস্যা নেই আমার, আপনারা কথা বলুন।


রিশান অভির দিকে তাকিয়ে বললো
- না। তোমার থাকা, না থাকায় কোন সমস্যা না। আসলে, নিশা মনে করে আমি নীলাকে পছন্দ করি আর ওকে বাদ্য হয়ে বিয়ে করেছি।
তোয়া কপালে ভাঁজ ফেলে প্রশ্ন করল
- তো আপনি ওকে বলেননি, যে আপনি ওকে পছন্দ করেন?
রিশান মাথা নিচু করে অপরাধীর কন্ঠে বললো
- বিয়ের রাতেই আমি ওকে বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও আমাকে কোন সুযোগ না দিয়ে, বার বার আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে। আমিও রেগে যাই সাথে ভয়ও হয়, যদি ও আমাকে সত্যি সত্যি ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। তাই আমি সন্তানের মাধ্যমে ওকে আটকে রাখতে চেয়েছিলাম। আর সেই জন্যই জোর করে ওর সাথে ,,,,, 
কথাটা শেষ করে না রিশান। মাঝপথেই থেমে যায় সে। কারণ সে জানে, আর বলার প্রয়োজনও নেই। প্রাপ্তবয়স্ক তোয়া আর অভি এতোটুকুতেই অসমাপ্ত বাক্যটির অর্থ বুঝে ফেলেছে। তোয়া রাগী কন্ঠে বললো
- মানে আপনারা পুরুষেরা কি ভালোবেসে দুটো কথা বুঝাতে পারেন না! কেউ রেগে বিয়ে করে নিচ্ছেন তো, কেউ রেগে বাচ্চা নিয়ে নিচ্ছেন। কি পেয়েছেন কি আপনারা মেয়েদের নিজেদের হাতের পুতুল! যখন যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে নাচাবেন!
অভি তোয়াকে শান্ত করতে বললো
- প্লিজ তোয়া শান্ত হোও।
তোয়া অভির দিকে তাকিয়ে গলার আওয়াজ বাড়িয়ে বললো
- কি শান্ত হবো হ্যাঁ। আমার মতো মেয়েকে তুমি ভুল বুঝে জোর করে বিয়ে করেছ। কতো বলেছিলাম আমার কথাটা শুনুন, শুনেননি। 
তারপর পুনরায় রিশানের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললো
- আর উনি কি তো একজন রেপিস্টের মতো, ছিঃ।
ঘৃণায় মুখ ঘুরিয়ে নেয় তোয়া। অভি তোয়াকে শক্ত কন্ঠে বললো
- তোয়া উনি তোমার টিচার।
তোয়া পুনরায় অভির দিকে তাকিয়ে দ্বিগুণ রেগে বললো
- কিসের টিচার উনি ,,,,
তোয়ার কথাটা শেষ হওয়ার আগেই সেখানে রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার এসে টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে শান্ত, নম্র কন্ঠে জিজ্ঞেস করল
- স্যার, ম্যাম কোন সমস্যা?
তোয়া রাগে ভুলেই গিয়েছিল যে তারা রেস্টুরেন্টে বসে আছে। চুপ হয়ে যায় তোয়া, তবে রাগ তার মোটেও কমে না। অভি ম্যানেজারকে শান্ত কন্ঠে বললো
- নাহ। তুমি যাও, আর আমাদের অর্ডারটা তাড়াতাড়ি নিয়ে এসো।
ম্যানেজার মাথা নেড়ে বললো
- ওকে স্যার।


তারপর চলে গেল। অভির মতো এতো বড় ব্যবসায়ীকে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার সাহস তাদের নেই। এতোটুকু কথায় কতো ভয়ে ভয়ে এসে বলেছে। না বললে আবার অন্য কাস্টমাররা কমপ্লেন করছে। অভি তোয়ার দিকে তাকিয়ে বললো
- প্লিজ তোয়া একটু শান্ত হও। আমরা পাবলিক প্লেসে আছি। আর তাছাড়া আমরা হারানোর ভয়েই এমন ভুল করেছে। আমি তার জন্য তোমাকে সরি বলেছি।
তোয়া কপালে পুনরায় ভাঁজ ফেলে জিজ্ঞেস করল
- একটা সরি বললেই কি সব ভুল মাফ হয়ে যায়?
অভি উত্তর দিল
- না, সরি বললে কখনোই এতো বড় ভুল মাপ হয় না। কিন্তু আপাতত আমাদের এর থেকে বেশি কিছু করারও নেই। মানুষ মাএই ভুল। আমরাও ভুল করে ফেলেছি, এখন চাইলেও তা বদলাতে পারবো না। তবে রিশান স্যারের ক্ষেত্রে দোষটা কিন্তু সম্পূর্ণ স্যারের একার না। নিশারও স্যারের কথা শোনার উচিত ছিল। আমি যেমন তোমার কথা না শুনে ভুল করেছি, নিশাও তেমনই স্যারের কথা না শুনে ভুল করেছে।
তোয়া একটু শান্ত হলো। স্বাভাবিক কন্ঠে বললো
- সরি, স্যার৷ আমি একটু বেশি বলে ফেলেছি। কিন্তু আপনি যা করেছেন, তাও খুব খারাপ হয়েছে। মেয়েটার জীবনে এমনিতেই কষ্টের শেষ নেই। যেদিন তার জন্ম হয় সেদিনই আংকেল এক্সিডেন্টে মারা যায়। সেই সূত্র ধরেই আত্নীয়-স্বজনরা তাকে অলক্ষী বলে। তার উপর গায়ের রঙটা শ্যামলা বলেও ছোটবেলা থেকে তাকে মানুষের অনেক কথা শুনতে হয়। অসচ্ছল সংসারে শুধু মা আর বড় বোনের ভালোবাসায় বেড়ে উঠেছে নিশা। যে মেয়েটা নিজের আত্নীয়-স্বজনদের ভালোবাসায়ই কখনো পায়নি। ভালোবাসার কথা কি বলছি, তাদের থেকে দুটো ভালো কথা পর্যন্ত কখনো শুনেনি। এই যে নীলা আপুর সাথে আপনার বিয়ে হয়নি, তার সব দোষও নিশার উপর চাপানো হয়েছে। নিশা না কি অলক্ষী মেয়ে, বড় বোনের সুখ কেড়ে নেয়। এমন নানা রকমের কথা ও'কে শুনতে হয়। এমন একটা মেয়ের পক্ষে তার স্বপ্ন পুরুষ তাকে ভালোবাসে কথাটা বিশ্বাস করা সহজ না।
রিশানের চোখ দুটো ছলছল করছে। তার মায়াবিনী এতো কষ্ট সহ্য করে বড় হয়েছে। খুব রাগ হচ্ছে তার নিশার আত্নীয় স্বজনদের উপর, তার থেকেও বেশি রাগ হচ্ছে নিজের উপর। দৃঢ় কন্ঠে সে বললো
- আমি নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবো না। তবে আমি কথা দিচ্ছি এর পর আর কখনোই নিশার চোখে পানি আসতে আমি দিবো না।


ওয়েটার এসে টেবিলে খাবার দিয়ে যায়। অভি চেয়ার থেকে উঠতে উঠতে বললো 
- তোমরা খাওয়া শুরু কর। আমি একটু ওয়াসরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসছি।
তোয়া ছোট করে অভিকে বললো
- আচ্ছা।
অভি ওয়াসরুমে চলে গেলে। অভিকে আচ্ছা বললেও তোয়া বা রিশান কেউই খাওয়া শুরু করলো না। তাদের এখান খাওয়ার কোন আগ্রহ নেই, তাদের মাথায় শুধু চিন্তা নিশাকে নিয়ে। তোয়া রিশানকে জিজ্ঞেস করল
- স্যার নিশা প্রেগন্যান্সির কথা জানে?
রিশান ছোট করে উত্তর দিল 
- না।
তোয়া অবাক হয়ে আবার জিজ্ঞেস করল 
- কেন?
রিশান উত্তর দিল
- যদিও ডাক্তার বলেছিল রিপোর্ট দেখানোর সময় ওকে সাথে করে নিয়ে যেতে, তবু্ও আমি ওকে নিয়ে যাইনি। আমার ভয় ছিল। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ও এখন খুব দূর্বল। রিপোর্টে যদি খারাপ কিছু থাকে তাহলে ওর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে।
তোয়া পুনরায় জিজ্ঞেস করল
- ফোন করেও বলেননি?
রিশান পুনরায় উত্তর দিল
- রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই তোমার ফোন পেয়েছি। আর তোমার সাথে কথা বলেই হসপিটাল থেকে সোজা এখানে চলে এসেছি। ভাবছি বাসায় গিয়ে একবারে সবাইকে বললো। আর আমার ভয়ও হচ্ছে। দুজনের সম্মতিতে তো সন্তানটা আসেনি, নিশা কি আমাদের সন্তানকে মেনে নিবে। না কি আমার আর ওর প্রিয় কাঠগোলাপ ফুলের মতো আমাদের সন্তানকেও ঘৃণা করবে।
সন্তানের কথা ভাবতেই রিশানের অপরাধ বোধটা যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। তোয়া শান্ত কন্ঠে বললো
- কোন মা'ই তার সন্তানকে ঘৃণা করতে পারে না। আর নিশা তো বাচ্চাদের খুব ভালোবাসে। আপনাকেও নিশা খুব ভালোবাসে। খুব কষ্ট পেয়েছে বলে এখন ও আপনার উপর অভিমান করে আছে। ওর এই অভিমানের পাল্লা ভাঙলেই আপনি বুঝতে পারবেন।
তোয়া কথা শেষ হতে না হতেই অভি ওয়াসরুম থেকে ফিরে আসে। চেয়ারে বসতে বসতে বললো
- তোমরা এখনো খাওয়া শুরু করনি। আগে খেয়ে নেও পরে সব কথা হবে। নেও শুরু কর।


তেজগাঁও মহিলা কলেজে এইচ এস সি পরীক্ষার সিট পড়েছে তূবা আর কুহুর। সকাল দশটা থেকে পরীক্ষা শুরু। প্রথম পরীক্ষা হবে বাংলা প্রথম পএের। এখন সময় নয়টা চল্লিশ। আজকে প্রথম পরীক্ষা দেখে একটু আগে আগেই পরীক্ষার হলে ঢুকে যাচ্ছে তারা। গেইটের বাইরে দাঁড়ানো অভ্র, কাব্যর থেকে বিদায় নিয়ে, দুই বান্ধবী হাতে হাত রেখে গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকছে। দুজনের চোখেই জলে চিকচিক করছে। আজকে এখানে তিন বান্ধবীর হাতে হাত রেখে ভিতরে ঢুকার কথা ছিল। কতো স্বপ্ন ছিল তাদের। তিন বান্ধবী মিলে একসাথে পরীক্ষা দিবে, একসাথে পাশ করবে। তারপর, যে যার পছন্দমতো ভার্সিটিতে ভর্তি হবে। তাদের বন্ধুত্ব ব্যস্ততার মধ্যে যাতে না হারায়, তাই তারা সপ্তাহে সপ্তাহে একসাথে এসে আড্ডা দিবে। কিন্তু তাদের এতো পরিকল্পনার কিছুই আর করা হলো না।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৭১ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আনআমতা হাসান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন